জিমন্যাস্টিক্সে সম্ভাবনা ছিল প্রচুর। এক সময়ে দেশে এ খেলার জনপ্রিয়তাও কম ছিল না। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে জাতীয় প্রতিযোগিতা দেখতে অনেক দর্শকের দেখা মিলত। পুরুষ ও মহিলা বিভাগে মানসম্পন্ন জিমন্যাস্ট থাকার পরও নজর না দেওয়াতে তাদের সাফল্য জাতীয় প্রতিযোগিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এখন না আছে জনপ্রিয়তা না আছে মান। দ্বন্দ্বে জড়িয়ে জিমন্যাস্টিক্স হুমকির মধ্যে পড়ে আছে। বলা যায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এ খেলা। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদুর রহমান অবশ্য দ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করে বলেন, জিমন্যাস্টিক্সে এখনো প্রচুর সম্ভাবনা আছে। দেশে ভালোমানের জিমন্যাস্টও রয়েছে। কিন্তু অর্থটাই এখানে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাকা পেলে জিমন্যাস্টদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে এ খেলার চেহারা বদলে দেওয়া যায়।
খেলোয়াড়রা বড় কোনো আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নিতে পারছেন না। তাই নিজেদের মানও যাচাই করা যাচ্ছে না। গত লন্ডন অলিম্পিকে বাংলাদেশের একজন জিমন্যাস্ট অংশ নিয়েছিলেন। এ নিয়েও অনেক বিতর্ক উঠেছিল। কেননা দেশে জিমন্যাস্ট থাকলেও দুনিয়া সেরা এ গেমসে অংশ নিয়েছিলেন আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশের জিমন্যাস্ট কাজী সাইক সিজার। আহমেদুর রহমানের বক্তব্য ছিল এ নিয়ে আমি বিতর্ক ওঠার কোনো কারণ দেখছি না। সিজার দীর্ঘদিন আমেরিকায় বসবাস করলেও জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। ওর বাবা সিজার এক সময় দেশে নামকরা ফুটবলার ছিলেন। সাইক আমেরিকায় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে সাফল্য পাওয়াতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অনুমতি নিয়ে তাকে অলিম্পিকে পাঠানো হয়েছিল। এটা ঠিক গেমসে সে ভালো করতে পারেনি। এবারে আমরিকাতে ভালোমতো প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তাকেই কমনওয়েলথ ও এশিয়ান গেমসে পাঠানো হচ্ছে। দুটি গেমসে সাইক ব্যক্তিগত ইভেন্টে অংশ নেবেন। আহমেদুর রহমান বলেন, এশিয়ান গেমসের চেয়েও কমনওয়েলথ গেমসে ভালো করবে আশা রাখছি। দেশে তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন? আহমেদুর বলেন, দেশে যদি কোনো ভালোমানের বিদেশি কোচ দিয়ে সাইককে প্রশিক্ষণ করান হতো তাহলে কোচের পেছনে প্রতি মাসে ৫ হাজার ডলার বেতন গুণতে হতো। এই অর্থ দেওয়ার সামর্থ্য ফেডারেশনের নেই। আমেরিকায় ওর প্রশিক্ষণের পেছনে প্রতিমাসে ১ থেকে বড়জোর দেড় হাজার ডলার খরচ হতে পারে। এ যুক্তিটা আবার মানছেন না দেশের বেশ ক’জন জিমন্যাস্ট। জাতীয় প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পাওয়া এক জিমন্যাস্ট বলেন, আমাদের আপত্তি থাকত না সাইক সিজার যদি উন্নতমানের জিমন্যাস্ট হতেন। আমেরিকাতে উনার সাফল্যের কথা বলা হচ্ছে কিন্তু তা কি মানের সেটাও পরিষ্কার করতে হবে। তিনি বলেন, শত প্রতিকূলতার মধ্যে দেশে জিমন্যাস্টরা খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন তাদের বাদ দিয়ে যদি বার বার সাইক বড় বড় গেমসে অংশ নিয়ে থাকেন এর চেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে।
শিরোনাম
- খামেনি আমাদের লক্ষ্য, কিন্তু হত্যা এখন নয়: ট্রাম্প
- ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’, ট্রাম্পের নতুন পোস্ট
- প্ল্যাটফর্মে নির্বাচনি ট্রেন হুইসেলের অপেক্ষা
- তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ
- বাকেরগঞ্জে গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা
- আবারও ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে মিসাইলের বহর ছুড়েছে ইরান
- আমরা ইরানের আকাশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি: ট্রাম্প
- রাষ্ট্রদূতের রহস্যময় বার্তা: ইরানে কি পরমাণু বোমা ফেলতে যাচ্ছেন ট্রাম্প?
- ইরানের ‘পরমাণু সমৃদ্ধি’ বিনাশে বড় সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, ইঙ্গিত ভান্সের
- ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে গুড়িয়ে গেছে ইসরায়েলের ‘মস্তিষ্ক’ খ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দুইজনের মৃত্যু
- ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিহত ৪৫০ ছাড়িয়েছে: মানবাধিকার সংস্থা
- ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রাশিয়া : ক্রেমলিন
- বুশের মতো ভুল করছেন ট্রাম্প: সিএআইআর
- ইসরায়েল যুদ্ধক্ষেত্র প্রসারিত করছে: জর্ডানের বাদশাহ
- এক দিনে এয়ার ইন্ডিয়ার ৬টি ড্রিমলাইনার ফ্লাইট বাতিল
- কর্মকর্তাদের ইন্টারনেটযুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার নিষিদ্ধ করলো ইরান
- ঢাকা ও চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার সতর্কতা
- নির্বাচনি ট্রেনে উঠতে রাজনৈতিক দল এখন প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছে : প্রিন্স
- সুন্দরবন রক্ষায় কনক্রিট অ্যাকশন প্ল্যান করা হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা
কমনওয়েলথ এশিয়ান গেমসেও সাইক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

হঠাৎ জি-সেভেন সম্মেলন ছেড়ে ফেরার কারণ যুদ্ধবিরতি নয়, আরও বড় কিছু : ট্রাম্প
১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পরমাণু অগ্রগতি নিয়ে ইসরায়েলের দাবি সত্য নয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মূল্যায়ন
৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম