মন ভালো রাখার জন্য মানুষ অনেক কিছুই করে থাকে। বছরে কয়েকবার আবহাওয়া বদল করতে দূর-দূরান্তে ছুটে যায়। ডাক্তার তো আছেই, মানোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও অনেক আলাপ করতে হয়। কিন্তু মন ভালো রাখার জন্য এতকিছুর কি সত্যিই প্রয়োজন রয়েছে! একটু সতর্ক হয়ে চললেই মন এবং শরীর দুটিই সুস্থ রাখা সম্ভব। এর জন্য কেবল খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। যারা ভোজন রসিক, তাদের জন্য বিষয়টি সত্যিই কঠিন। খাবারের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ আনা তাদের জন্য বেশ কষ্টকর। তবে খাবারের পরিমাণ নয়, তার প্রকৃতির ওপরই সবকিছু নির্ভর করে। অনেক কিছু খেয়েও সুস্থ থাকা যায়, যদি তার প্রকৃতি ঠিক থাকে। যেমন অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রয়েছে, এমন খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। খাবারের সঙ্গে মনের দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিদিন মানুষের মন ভালো থাকা না থাকা নির্ভর করে প্রতিদিনের খাবার তালিকার ওপরই!
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, পটেটো চিপস এবং ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো খাবার কোমরকে মোটা করে এবং শরীর ভারী করে তোলে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরল রয়েছে, এমন খাবার মানুষকে তন্দ্রাচ্ছন্ন এবং অলস করে তোলে। অফিসে বসে ঝিমুনি আসে। কেবল ঘুমাতে ইচ্ছে করে। খাবার কিনে খাওয়ার চেয়ে ঘরে তৈরি করে খাওয়া অনেক ভালো। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, বাইরের খাবারের চেয়ে ঘরে তৈরি খাবার শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। শারীরিকভাবে সুস্থ এবং মানসিকভাবে সতেজ থাকার জন্য খাবারের দিকে তাই অতিরিক্ত মনোযোগই দিতে হবে।
চকলেট কিংবা আইসক্রিমের জন্য অনেকেরই আকর্ষণ অনেক বেশি। কিন্তু এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে বলে তাৎক্ষণিক আনন্দ দিলেও পরবর্তীতে শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। শরীরকে নিস্তেজ করে দেয়। এসব থেকে বাঁচতে হলে খাবারের দিকে বিশেষ মনোযোগই দিতে হবে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। তবেই শরীর এবং মন দুটিই সুস্থ রাখা সম্ভব হবে। যারা ভোজন রসিক, তাদের জন্য বিষয়টি কঠিন হলেও ভবিষ্যতের মঙ্গলের জন্য তা করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।