২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক হওয়ার লক্ষ্যে সমর্থন পেতে কাতার পাঁচ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়েছিল। ফিফার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশের ফুটবল এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টকে কাতারবিষয়ক ফিফার সাবেক নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ বিন হাম্মাম এ অর্থ লেনদেন করেছিলেন। ব্রিটিশ দৈনিক সানডে টাইমস আজ তাদের এক প্রতিবেদনে হাম্মামের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের এ অভিযোগ করেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার
ব্রিটিশ পত্রিকাটি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, বিন হাম্মাম যে ঘুষ প্রদান করেছেন এ বিষয়ে তাদের হাতে লক্ষ লক্ষ ই-মেইল এবং অন্যান্য কাগজপত্র আছে।
ফুটবল পরিচালনা থেকে বর্তমানে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হাম্মাম ফিফার নির্বাহী সদস্য ছাড়াও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের [এএফসি] প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১২ সালে ফিফার নীতিবিষয়ক কমিটি তাকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে। তবে নিষিদ্ধ হওয়ার আগেই হাম্মাম ফিফা ও এএফসির পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
সানডে টাইমস দাবি করে যে, ২০২২ সালে বিশ্বকাপের আয়াজক হতে কাতারের প্রচেষ্টায় সমর্থন পেতে বিন হাম্মাম আফ্রিকার ৩০টি ফুটবল এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টের ব্যাংক একাউন্টে ঘুষবাবদ ২ লাখ ডলার অর্থ পাঠিয়েছেন। সেই সঙ্গে তাদের সম্মানে আফ্রিকায় এক আপ্যায়ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন যেখানে আরো অর্থ লেনদেন করেছেন তিনি।
এছাড়া ফিফার সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট জ্যাক ওয়ার্নারের সমর্থন পেতে তাকে ১.৬ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ডলার অর্থ ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক কে হচ্ছে এ লক্ষ্যে ভোট গ্রহণের ঠিক আগে ওয়ার্নারের ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়েছিলেন হাম্মাম। দৈনিকটির প্রতিবেদনে তা বলা হয়েছে।
ফিফার ২২ সদস্যের প্যানেলের একজন ছিলেন জ্যাক ওয়ার্নার। এ প্যানেলই ২০১০ সালে সিদ্ধান্ত নেয় যে, ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক হচ্ছে কাতার। সেই সঙ্গে রাশিয়াকে ২০১৮ সালের আয়োজক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
ব্রিটিশ আরেকটি দৈনিক টেলিগ্রাফ দুই মাস আগে দাবি করেছিল যে, হাম্মামের মালিকানাধীন একটি কোম্পানি ওয়ার্নারকে ঘুষ দিয়েছিল। এরপরই তার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক এ অভিযোগ আনে সানডে টাইমস।
এদিকে এ বিষয়ে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে কোনো জবাব দেয়নি হাম্মাম। তার পক্ষে তার ছেলেও কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।