বিশ্বকাপ স্বচক্ষে দেখা আমার কাছে নতুন নয়। ২০০৬ সালে জার্মানে অনুষ্ঠিত আঠারতম বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর স্বচক্ষে উপভোগ করেছি। কিন্তু এবার যাচ্ছি ব্রাজিলে। এখনও ঢাকা ছাড়িনি কিন্তু এরই মধ্যে মনের ভিতর উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বকাপ এবার এমন এক দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যে দেশটির পরিচয় মূলত ফুটবলকে ঘিরেই। অন্য কারো কথা বলতে পারব না, আমি ইলিয়াস হোসেন ব্রাজিলকে চিনেছি বিশ্বকাপের কারণে। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। সুতরাং সেই দেশে বিশ্বকাপ হওয়া মানেই বিশ্বকাপের দেশে বিশ্বকাপ হওয়া। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন বিশ্বকাপকে ঘিরে সব সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। কিন্তু এবারের আসর ব্রাজিলে বলে উন্মাদনাটা অনেক বেশি। আমার বা বাংলাদেশের কোনো ফুটবলারের বিশ্বকাপ খেলা হয়নি। বাংলাদেশের মতো ফুটবলে জনপ্রিয় দেশে ফুটবলারদের অবশ্যই এটা বড় আফসোস। যাক, আমরা পারিনি ভবিষ্যতে ছেলেরা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলবে আশা রাখি। আমার বিশ্বাস, এখনকার ফুটবলাররা বিশ্বকাপে তারকাদের খেলা দেখে অনেক কিছু শিখতে পারবে। আসলে যেদিনই সিদ্ধান্ত হলো ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজনের সেদিনই ঠিক করলাম ফুটবলের দেশে গিয়ে বিশ্বকাপ দেখব। এখন সে ইচ্ছা বা স্বপ্ন আমার পূরণের পথে। কেননা, ইতিমধ্যে দুই ম্যাচ দেখার টিকিট হাতে পেয়ে গেছি। আশা রাখছি ৮ কিংবা ৯ জুন ব্রাজিলের উদ্দেশ্যে আমি ঢাকা ছাড়ব। আমি ১২ জুন ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে উদ্বোধনী ও ১৫ জুন আর্জেন্টিনা ও বসনিয়ার ম্যাচ দেখব। ইচ্ছা ছিল সেমি ও ফাইনাল দেখারও। কিন্তু টিকিট না পাওয়াতে দুই ম্যাচ দেখে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। ফুটবল থেকে অনেক আগে অবসর নিলেও এর মায়া কোনোদিন ছাড়তে পারব না। বলতে পারেন এ খেলা আমার হৃদয়ে গেঁথে গেছে। এখন আমি বাফুফের নির্বাহী কমিটিতে আছি। তাই ব্রাজিলে থাকা অবস্থায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডও দেখব। যদিও সময় বেশি দিনের নয়। তারপরও যা দেখব বাফুফেকে পরামর্শ দেব। আমি মনে করি, যে কোনো ব্যাপারে ভালো পরামর্শের প্রয়োজন রয়েছে।
লেখক : মো. ইলিয়াস হোসেন
জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার