বিশ্বকাপের পুরোটা সময় জুড়ে যে কজন প্রতিপক্ষ তারকা যোগাযোগ রক্ষা করছেন তাদের মধ্যে নেইমার-সানচেজ অন্যতম। ন্যু ক্যাম্পের বন্ধুত্বটা বিশ্বকাপের মঞ্চেও আছে অটুট। কিন্তু অন্তত একদিনের জন্য হলেও বন্ধুত্বের বন্ধন খুলে প্রতিপক্ষের তলোয়ার হাতে তুলতে হবে দুজনকে। শেষ ষোলতেই মুখোমুখি হচ্ছেন নেইমার-সানচেজ।
বি গ্রুপে স্পেন এবং নেদারল্যান্ডসকেই নকআউট পর্বের দল ধরা হয়েছিল। সবাইকে অবাক করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে বিদায় করে আলেঙ্সি সানচেজের চিলি উঠে এসেছে নকআউট পর্বে। তবে স্বপ্নের সমাধিটা বুঝি এখানেই হচ্ছে। সামনে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফেবারিট ব্রাজিল। ২৮ জুন বেলো হরিজন্তের মিনেরাও স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে ল্যাটিন ফুটবলের দুই দল ব্রাজিল-চিলি।
ব্রাজিলিয়ানরা বলছে, আলেঙ্সি সানচেজের চিলি ভয়ঙ্কর দল। গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে ২-০ গোলে হারিয়েই তো চিলি নিজেদের সামর্থের প্রমাণ দিয়েছিল। দুর্দান্ত গতি, কারুকার্যময় পাস, মুহুর্মুহু কাউন্টার আক্রমণ এবং দলীয় সমন্বয়ে চিলি বিশতম বিশ্বকাপের ভয়ঙ্করতম দল নিঃসন্দেহে। এই দলটারই মুখোমুখি হতে হবে ব্রাজিলকে। দানি আলভেস তো বলেই দিয়েছেন, আলেঙ্সি সানচেজের মতো তারকাদের নিয়ে গড়া চিলি দল। সানচেজকে কোন ফাঁকা স্থান দিলে সে আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর প্রমাণিত হবে। বন্ধুর জন্য কোনো স্থান দিতে নারাজ নেইমার দ্য জুনিয়রও। তবে ব্রাজিলিয়ানদের এত সতর্কতাকে মোটেও ভয় পাচ্ছেন না আলেঙ্সি সানচেজ। তিনি অপেক্ষায় আছেন ক্লাবের বন্ধুদের মুখোমুখি হওয়ার। বিশ্বকাপে এক গোল করার পাশাপাশি এসিস্টও করেছেন একটা। তবে চিলির প্রায় গোলেই থাকে তার অবদান। এই প্লে-মেকারকে নিয়ে ব্রাজিলকে বিপদেই পড়তে হবে শেষ ষোলর ম্যাচে। নেইমাররা তা স্বীকারও করেছেন। এ কারণেই স্কলারি বিশেষ নজর রাখছেন সানচেজের উপর। ব্রাজিলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সানচেজকে থামানোর প্রয়োজন বটে। কিন্তু বার্সেলোনার এই তারকা ফুটবলারকে কি সত্যিই রুখতে পারবে ব্রাজিল! স্পেন, অস্ট্রেলিয়া এমনকি নেদারল্যান্ডসও তার গতি রুখতে পারেনি। অবশ্য ব্রাজিল এবার বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছে বিশ্বসেরা রক্ষণভাগ নিয়েই।