ইনজুরি আক্রান্ত রাদামেল ফ্যালকাওকে ছাড়াই যখন কলম্বিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করলেন হোসে পেকারম্যান ভক্তদের হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল। তবে কলম্বিয়ান দল কেবল ফ্যালকাওরে উপর ভর করেই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেনি। জেমস রদ্রিগেজরা বিশ্বের সামনে প্রমাণ করলেন, কলম্বিয়া ফ্যালকাওয়ের চেয়েও বেশি কিছু। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে টানা তিন জয় পেল কলম্বিয়া! মঙ্গলবার মধ্যরাতে জাপানকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে সি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই নকআউট পর্বে পৌঁছলো পেকারম্যানের শিষ্যরা। সি গ্রুপ থেকে বিস্ময়করভাবে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে গ্রিস। আইভরি কোস্টকে শেষ মিনিটের নাটকীয় পেনাল্টি গোলে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে বিদায় করেছে গ্রিকরা।
সি গ্রুপ মোটামুটি সহজ। জাপানিরা সম্ভবত এবারেও নকআউট পর্বে খেলছে। এমন ধারণাই গত কয়েক মাস ধরে ফুটবল দুনিয়ায় ছড়িয়েছিল। কিন্তু প্রমাণ হলো, অতীত ইতিহাস ভেঙে দিতেই গ্রিকরা বিশ্বকাপে এসেছে। আর কলম্বিয়া! যাদের অতীত চারটা বিশ্বকাপে সীমাবদ্ধ। চার বিশ্বকাপে যাদের জয় তিনটা। তারা ব্রাজিল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেই তিনটা ম্যাচ জয় করল! যাদের অতীত চারটা বিশ্বকাপে গোল সংখ্যা ১৪টা তারা গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই গোল করল ৯টা! ব্রাজিল বিশ্বকাপ যেন চমকের ডিপো। একের পর এক পরত খুলছে আর বেরিয়ে আসছে চমক। কলম্বিয়ানরা যদি নকআউট পর্বেও দারুণ কিছু করে দেখায় অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কলম্বিয়ানরা সর্বশেষ ১৯৯০ বিশ্বকাপের শেষ ষোলতে খেলেছিল।