বিশ্বকাপ ঘিরে বাংলাদেশে উন্মাদনার শেষ নেই। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পুরো দেশ জুড়ে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর পতাকা পত পত করে উড়ছে। সন্দেহ নেই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে ঘিরেই মূলত উন্মাদনা। যেদিন দুই দলের খেলা থাকে সেদিন যেন বাংলাদেশে উৎসবের জোয়ার বয়ে যায়। জিতলে আনন্দ হারলে বেদনা এ যেন স্বাভাবিক ঘটনায় রূপ নিয়েছে। দুই দেশকে সমর্থন দেওয়ার মূল কারণ কিন্তু পেলে ও ম্যারাডোনা। এক সময় পেলের কারণেই ব্রাজিলের সমর্থকদের সংখ্যা ছিল ভরপুর। কিন্তু ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জয় করার পর আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সংখ্যা যেন স্রোতের মতো বাড়তে থাকে। দুই কিংবদন্তি মাঠ থেকে অনেক আগেই বিদায় নিলেও ফুটবলপ্রেমীরা যেন তাদের নাম নিতে পাগল। যাদের জন্য পুরো বিশ্ব আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের উৎসবে মাতোয়ারা থাকে। অথচ সেই পেলে ও ম্যারাডোনার এবার বিশ্বকাপে দেখা মিলছে না। ইরানের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচে ম্যারাডোনাকে গ্যালারিতে দেখা গেলেও কালোমানিকখ্যাত পেলেরতো ম্যাচে দেখাই মিলছে না। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ অথচ মাঠে পেলে নেই এরচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা আর কি হতে পারে। অনেক আগে থেকে এ কিংবদন্তি আবেগের সুরে বলে আসছিলেন, মৃত্যুর আগে একটা স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। আর তাহলো গ্যালারিতে বসে নিজ দেশে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের উৎসব দেখা। ১৯৫০ সালে ব্রাজিলে যখন প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আয়োজন হয়েছিল তখন পেলে ছিলেন শিশু। তাই নিজ দেশে বিশ্বকাপ না জেতার বেদনাটা তেমনভাবে বুঝতে পারিনি। বয়স যখন হয় তখন আফসোসটা টের পেয়েছিলেন। তার অসাধারণ নৈপুণ্য ৬২ ও ৭০ সালে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হলেও নিজ দেশে শিরোপা না জেতার আক্ষেপটা থেকেই গেছে। এবার তাই বিভিন্ন মিডিয়াকে বলেছিলেন, ব্রাজিল পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতলেও নিজ দেশে চ্যাম্পিয়ন হলে তা হবে শ্রেষ্ঠ অর্জন। নেইমার যে পথে হাঁটছে তাতে শিরোপা জয়টা অসম্ভবের কিছু হবে না। পেলে যে খেলা দেখছেন না তা কিন্তু নয়। নিজেই বলেছেন টিভিতে নেইমারদের খেলা উপযোগ করছি। কিন্তু টিভি আর স্বচক্ষে দেখা কি এক কথা। কথা হচ্ছে কেন তিনি মাঠে আসছেন না। এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো জবাব পাওয়া না গেলেও জানা গেছে ব্রাজিল সরকার ঠিকমতো মূল্যায়ন না করাতে অভিমানে তিনি মাঠে গিয়ে খেলা দেখছেন না। তবে কারও কারও ধারণা বিশ্বকাপ শুরুর আগে তার ছেলে মাদক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় লজ্জায় কারও সামনে মুখ দেখাতে পারছেন না। এদিকে বিশ্বকাপ শুরুর আগে ম্যারাডোনা ব্রাজিলে আসবেন কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দেশের টানে ঠিকই ছুটে এসেছিলেন।বসনিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে গ্যালারিতে দেখা না গেলেও ইরানের বিপক্ষে মেয়েকে নিয়ে আর্জেন্টিনার ম্যাচে দর্শক সারিতে উপস্থিত হন। ম্যাচের ছয় মিনিট আগে তিনি গ্যালারি থেকে বের হয়ে যান। ব্যস, এতেই তাকে একহাত নিয়ে ছাড়ল আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন। ফেডারেশনের সভাপতি বললেন, ভাগ্যিস এ অপয়া বের হয়ে গিয়েছিল। তা না হলে আর্জেন্টিনা নির্ঘাত ড্র করে বসত। আর্জেন্টিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরাও এ নিয়ে ম্যারাডোনাকে কটূক্তি করেন। এতেই মনের কষ্টে গ্রেট এ ফুটবলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি আর আর্জেন্টিনার ম্যাচে উপস্থিত থাকবেন না। এর ব্যাখা দিয়ে ম্যারাডোনা মিডিয়াকে জানান আমি খেলা দেখলে দল নাকি খারাপ খেলে। তাই আর্জেন্টিনার মঙ্গলের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি আর মাঠে যাব না।
শিরোনাম
- সেনাবাহিনীর জবাব ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে: পাকিস্তান আইএসপিআর প্রধান
- ভারতের ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
- বার্সাকে কাঁদিয়ে ৩১ মে ফাইনালে ইন্টার
- ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদরদপ্তর ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের
- হামলার জেরে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা
- ‘অপারেশন সিঁদুর’, অভিযান নিয়ে যা জানাল ভারত
- জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক ডাকলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
- ভারত-পাকিস্তানকে সামরিক সংযম দেখাতে জাতিসংঘের আহ্বান
- ভারতের হামলা ‘লজ্জাজনক’: মন্তব্য ট্রাম্পের
- পাক-অধিকৃত কাশ্মীরসহ ৯ স্থানে ভারতের হামলা
- শরীয়তপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষক নিহত
- ইয়েমেনে বিমান হামলা বন্ধের ঘোষণা ট্রাম্পের
- যুক্তরাজ্যে ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি, নজরে পাকিস্তানসহ একাধিক দেশ
- বাংলাদেশ-সৌদি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা: প্রথম যৌথ কমিটির সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত
- ৬ বছর বয়সী ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর’ সেই মেয়ের বয়স এখন ২৪, তবে...
- দুই দিনের বৃষ্টিতে গুজরাটে ১৪ জনের মৃত্যু, আহত ১৬
- ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় ক্রিকেটার গ্রেফতার
- সকালে পরাজয়, বিকালে জয়ী জার্মানির চ্যান্সেলর মেৎস
- বিয়ের কেনাকাটা করতে গিয়ে প্রাণ গেল বরের
- ফিফার অনুমোদন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে বাধা নেই সামিতের