মাঠে ফিরতে চান হকির দুই তারকা খেলোয়াড় এএইচএম কামরুজ্জামান ও মো. জাহিদ হোসেন। এশিয়া কাপে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে এ দুজনসহ আরও দুজনকে ফেডারেশন বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে। তদন্ত কমিটি এ শাস্তি সুপারিশ করেছিল। কিন্তু একসঙ্গে জাতীয় দলের চার নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়কে শাস্তি দেওয়াতে ক্রীড়ামহল বিস্মিত হয়েছিল। অবশ্য ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমত উল্লাহ বলেছিলেন মেয়াদ যাই হোক না কেন, শাস্তি প্রত্যাহারের আবেদন করলে বিবেচনা করা হবে। চার খেলোয়াড়ই শাস্তি প্রত্যাহারে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু তাদের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এদিকে আবার যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় ফেডারেশনকে তাগাদা দিয়েছেন এশিয়ান গেমসের পর চার খেলোয়াড়ের শাস্তি তুলে নেওয়ার। এরপরই ক্রীড়াঙ্গনে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে ফেডারেশন এখন চার খেলোয়াড়ের শাস্তি আর বহাল রাখতে পারবে না। উপমন্ত্রী এ বক্তব্য নিয়ে ফেডারেশনের অনেকেই মন্তব্য করতে চাননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাহী কমিটির এক সদস্য বলেছেন, চারজনই দেশের উঁচুমানের খেলোয়াড় অবশ্যই স্বীকার করব। কিন্তু ডিসিপ্লিন ভঙ্গ করলে শাস্তি পেতেই হবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, সাকিব আল হাসানের মতো বিখ্যাত ক্রিকেটারকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সালাউদ্দিনের মতো খ্যাতনামা ফুটবলারকে শাস্তি পেতে হয়েছিল। ফেডারেশন পরে প্রত্যাহার করে নেয়। সুতরাং এখানে কারো তাগাদা দেওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। চার খেলোয়াড় হকি ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে। তাদের আবেদন খুবই গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। আশা রাখি অল্পদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। শাস্তি কি প্রত্যাহার হবে? এ ব্যাপারে কর্মকর্তাটি বলেন, এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই শাস্তি প্রত্যাহার না বহাল থাকবে তা বলাটা ঠিক হবে না। তবে এতটুকু বলতে পারি ফেডারেশন মাঠে চার খেলোয়াড়ের অভাব অনুভব করছে। গতকাল দুই খেলোয়াড় কামরুজ্জামান ও জাহিদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়। দুজনই বলেছেন আমরা মাঠে ফিরতে চাই। তবে তার আগে শাস্তিতো প্রত্যাহার করতে হবে। যদি শাস্তি প্রত্যাহার হয়ে যায় তাহলে কি আসন্ন প্রিমিয়ার লিগে আপনাদের দেখা যাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে দুই তারকা বলেন, মাঠে যখন নামতেই চাই তখন লিগ খেলব না কেন? এটাইতো দেশের হকির আসরে মূল আকর্ষণ। মোহামেডান-মেরিনার্সের মতো দুই জনপ্রিয় দল লিগে অংশ না নেয়? এ ব্যাপারে তাদের কথা লিগে যে দল থেকে ভালো পারিশ্রমিক পাব সেখানেই খেলব। কামরুজ্জামান ও জাহিদ আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, মাঠে নামতে পারছি না এটা কি যে কষ্ট তা বুঝাতে পারব না। আমরা মাঠে ফিরতে চাই, কিন্তু তার আগেতো শাস্তি প্রত্যাহার করতে হবে। উল্লেখ্য মধ্য মাঠে নির্ভরযোগ্য তারকা কামরুজ্জামানকে জাতীয় দল ২ ও লোকাল আসর থেকে ১ বছর নিষিদ্ধ করা হয়। দেশ পরিচিত গোলরক্ষক জাহিদকে জাতীয় দল থেকে ৩ ও লোকাল আসরে ২ বছর নিষিদ্ধ করা হয়। দেশের হকির সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমিও নিষিদ্ধ প্রত্যাহারের জন্য ফেডারেশনে চিঠি দিয়েছেন। তিনি অবশ্য টেলিফোনে কোনো কথাই বলতে রাজি হননি। আরেক খেলোয়াড় পিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
শিরোনাম
- ‘সাবেক সিইসি নুরুল হুদার সঙ্গে যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’
- চমক রেখেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের ওয়ানডে দল ঘোষণা বিসিবির
- উত্তেজনার মধ্যেই বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর চালু করলো ইসরায়েল!
- সৌদি থেকে ফিরেছেন ৪৭ হাজার ২১২ হাজি
- আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ
- ৭ জেলায় ঝড়ের আভাস
- মুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব গ্রেফতার
- হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট
- বৈদ্যুতিক গোলযোগে হঠাৎ অন্ধকারে ঢাকার উল্লেখযোগ্য অংশ
- করোনায় আরও ৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬
- নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণ, যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২৯
- ইভ্যালির রাসেলের ৩ মাসের কারাদণ্ড
- ডা. স্বপ্নীলের সনদ ৫ বছরের জন্য স্থগিত করল বিএমডিসি
- শামীম ওসমানের দুই প্লট জব্দ, ২৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ
- বাংলাদেশে ভারতীয় ‘রিপাবলিক বাংলা’ টিভির সম্প্রচার বন্ধে রুল
- সাবেক ভূমিমন্ত্রীর তিন সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- তরুণ নৌ কর্মকর্তাদের কুচকাওয়াজে মুগ্ধ সেনাপ্রধান
- মৌসুমী, ফারিয়া, সাবিলাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
- ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
মাঠে ফিরতে চান হকির দুই তারকা
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর