বার্সেলোনায় শুরু হয়েছে নতুন যুগ। পেপ গার্ডিওলা যুগের পর টিটো ভিলানোভা এবং জেরার্ডো মার্টিনোর সংক্ষিপ্ত সময়ে অনেকটাই বদলে গিয়েছিল কাতালান এই ক্লাবটি। বার্সেলোনায় এক সময় পেপ গার্ডিওলার সতীর্থ এবং সহযোগী লুইস এনরিক নতুন যুগেরই সূচনা করলেন ন্যু ক্যাম্পে। গত রবিবার মধ্য রাতে নিজেদের মাঠে এল্চেকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসিরা। নতুন গুরু এনরিককে অসাধারণ দুটি গোল উপহার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। গোল করেছেন লা মেসিয়া থেকে মেসিদের সঙ্গে যোগ দেওয়া স্প্যানিশ তরুণ মুনির আল হাদ্দাদিও। এই জয়ে লা লিগায় শিরোপার পথে শুভযাত্রাই হলো কাতালানদের।
বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে যাওয়ার বেদনা ভুলে থাকতে বেশ কিছুদিন ছুটিতে ছিলেন লিওনেল মেসি। তারপর ন্যু ক্যাম্পে যখন ফিরলেন, সেই পুরনো মেসিকেই দেখলো ভক্তরা। প্রীতি ম্যাচেই নিজেকে মেলে ধরেছিলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। এবার লিগেও সেই পুরনো ফর্ম দেখালেন। লা লিগায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে গোলের উদ্বোধন করেন মেসিই। ম্যাচের ৪২ মিনিটে বাসকুয়েটসের এসিস্টে ডি বক্সে বাম প্রান্ত থেকে অসাধারণ এক গোল করেন মেসি। সেকেন্ড বারে বল জড়াতে তিনি চার জন ডিফেন্ডার এবং গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়েছেন! তবে এরচেয়েও আকর্ষণীয় ছিল দ্বিতীয় গোলটা। ডি বক্সে ভিতরে এক ফুট ফাঁকা স্থান পেলেও মেসি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন, তার প্রমাণ অনেকবারই তিনি দিয়েছেন। গত রবিবার আরও একবার দিলেন। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ভুল পাসে বল পেয়ে এক টুকরো ফাঁকা জমিন পেয়েই বল জালে জড়িয়ে দেন। এল্চের গোলরক্ষক বিস্ময়মাখা দৃষ্টি নিয়ে কেবল গোলটা হতে দেখেছেন। মেসির দুই গোলের ফাঁকে গোল করেন মুনির আল হাদ্দাদি। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই ডি বঙ্রে ডান দিক থেকে দারুণ এক গোল করেন তিনি। এমন একটা জয়ের পরও স্বস্তিতে নেই বার্সেলোনা। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছে আর্জেন্টাইন তারকা মাসকারেনোকে। ইনজুরিতে আছেন নেইমার। সুয়ারেজের উপর নিষেধাজ্ঞার খড়গ। বিপদেই পড়তে হবে এনরিককে!
মেসির প্রশংসা আগেও করেছেন লুইস এনরিক। গত রবিবার তাকে খেলতে দেখে বললেন, 'নিঃসন্দেহে মেসিই বিশ্বসেরা। তার অসাধারণ সব গুণ রয়েছে। দারুণসব এসিস্ট করে। নিজে গোল করে। প্রেসিংয়েও অতুলনীয়। এমনকি ডিফেন্সও করতে পারে সমানভাবে।' মেসির কাছে নাকি জাদুর বাক্স আছে। এমনটাই বললেন লুইস এনরিক। এমনকি মেসি চাইলে নাকি বিশ্বের সেরা ডিফেন্ডারও হতে পারতেন!