ঘাড় ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। মূলত ঘাড়ের মেরুদণ্ডে যে হাড় ও জয়েন্ট আছে তা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারের ফলে তাতে ক্ষয়জনিত পরিবর্তন ঘটে। তার লিগামেন্টগুলো মোটা ও শক্ত হয়ে যায় এবং দুটি হাড়ের মাঝে যে ডিস্ক থাকে তার উচ্চতা কমে এবং সরু হওয়া শুরু হয়। অনেক সময় হাড়ের মাঝে যে ডিস্ক থাকে তার উচ্চতা কমে এবং সরু হওয়া শুরু হয়। আবার হাড়ের মাঝে দূরুত্ব কমে গিয়ে পাশে অবস্থিত স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে ব্যথার জন্ম দিতে পারে। অনেক সময় স্নায়ু রজ্জু সরু হয়ে যেতে পারে। ফলে ঘাড় ব্যথা ও নড়াচড়া করতে অসুবিধাসহ মাথা ব্যথা।
দীর্ঘদিন এ ব্যথা থাকলে ঘাড়ের মেরুদণ্ডের বিকৃতি বা স্পাইরাল ডিফারমিটি দেখা দেয়। সাধারণত এসব রোগী ঘাড়ের ব্যথাসহ ঘাড় নড়াচড়া করা এবং হাতে ঝিন ঝিন অনুভব করার অসুবিধার কথা বর্ণনা করতে পারেন। এমনকি হাতে শক্তি কমে যাওয়াসহ হাতের আঙ্গুলের বোধশক্তির তারতম্যের কথা বলতে পারে। এ রোগের চিকিৎসার উদ্দেশ্য হলো ব্যথা কমানোর পাশাপাশি ঘাড়ের স্বাভাবিক নড়াচড়ার ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা, ঘাড় বা স্পাইনের সঠিক পজিশন বা অবস্থা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া এবং যেসব কারণে পুনরায় ঘাড় ব্যথা হতে পারে সে সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে সেভাবে চলার চেষ্টা করা। ব্যথা কমানোর ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা এসব রোগে অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষ করে পদ্ধতিগত ব্যায়াম যেমন- হাত দিয়ে মাথার বিভিন্নভাবে চাপ দিয়ে ঘাড়ের মাংসপেশি শক্ত করে, দুই কাঁধ একত্রে উপরে উঠানো, ঘাড়ের কিছু ব্যায়াম ইত্যাদি।
ডা. মো. সফিউল্লাহ প্রধান, চেয়ারম্যান, ডিপিআরসি, ঢাকা।