ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও হেরেছে সফরকারী বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচেও তারা ৯১ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে। এর ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে ক্যারিবিয়দের কাছে হোয়াইটওয়াশ হলো মুশফিকের দল। সোমবার রাতে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ৩৩৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে আট উইকেটে ২৪৭ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি আগের ম্যাচে ৭০ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশের। প্রথম ওভারেই বিদায় নেন এনামুল হক আর দ্বিতীয় ওভারে ইমরুল কায়েস।
তৃতীয় উইকেটে তামিমের সঙ্গে মুশফিকের ৯৯ রানের জুটি স্বস্তি ফেরালেও অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর সুনিল নারাইনের বলে বোল্ড হন তামিম। সিরিজে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা মুমিনুল হক ফেরেন মাত্র পাঁচ রান করে।
পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে ৫৫ রানের আরেকটি জুটি করেন মুশফিক। রবি রামপালের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭২ রান। শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহ, নাসির হোসেন, সোহাগ গাজী, মাশরাফি বিন মুর্তজা পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে কেবল।
এর আগে বোলিং করতে নেমে চতুর্থ ওভারেই লেন্ডল সিমন্সকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। পরের ওভারে আল-আমিন হোসেন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলকে বিদায় করলে চাপে পড়েন স্বাগতিকরা।
৪৩তম ওভারে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ২৫৮ রানের জুটি গড়েন রামদিন ও ড্যারেন ব্র্যাভো। ওয়ানডেতে তৃতীয় উইকেটে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। আর যেকোনো উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটিও এখন রামদিন-ব্র্যাভোর অধিকারে।
মাহমুদুল্লাহর শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১২৪ রান করেন ড্যারেন ব্র্যাভো। শেষ ওভারে আল-আমিনের বলে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১৬৯ রান করেন রামদিন। ওয়ানডেতে এটি তার সর্বোচ্চ রান। তবে শেষ ওভারে পর পর দুই বলে রামদিন ও জেসন হোল্ডারকে ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান আল-আমিন। তবে হ্যাটট্রিক বল ঠেকিয়ে তাকে হতাশ করেন নারাইন।