সাথিরা জাকির জেসি। ২০১০ সালে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের রুপাজয়ী দলের গর্বিত সদস্য ছিলেন। জাতীয় দলের জার্সিতে দুটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তেমন একটা ভালো করতে পারেননি। তবে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও নিয়মিত ক্রিকেট খেলছেন। ঘরোয়া লিগে পারফরম্যান্সও করছেন দারুণ। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে নিজের ক্রিকেটীয় ভবিষ্যৎ, এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশে মেয়েদের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক কথাই বললেন তিনি-
এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু?
গতবার আমরা (বাংলাদেশ) রুপা জিতেছিলাম। এবার প্রতিযোগিতা বেশ কঠিন হবে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়াও এবার শ্রীলঙ্কার মেয়েরা অংশ নিচ্ছে। সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে সম্ভবত পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে হবে। গতবার আমরা ফাইনালে পাকিস্তানের কাছেই হেরেছিলাম। আমি চাই, বাংলাদেশ স্বর্ণ জয় করুক এশিয়ান গেমসে। তবে স্বর্ণ জেতা অনেক কঠিন হবে।
জাতীয় দলে কীভাবে ফিরতে চান?
আমি নিয়মিত অনুশীলন করছি। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সও করছি মোহামেডানে। অলরাউন্ডার হিসেবে লিগে লতা মণ্ডলের পরই আমার অবস্থান। তবে জাতীয় দলে ফেরার জন্য আরও সাধনা করতে চাই। পারফরম্যান্স দিয়েই দলে ফিরতে চাই।
মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?
নিয়মিত লিগ হলে বাংলাদেশের মেয়েরা অনেক ভালো করতে পারবে। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক ম্যাচও খেলতে হবে নিয়মিত। অভিজ্ঞতার জন্য এটা খুব প্রয়োজন। আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ তেমন একটা খেলারই সুযোগ পাই না। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। তাহলেই নতুন খেলোয়াড় তৈরি হবে। আমি নিজে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি এ ক্ষেত্রে।
কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন?
গাজীপুরে আমার 'শিশু পল্লী ক্লাস' নামের একটা ক্রিকেট কোচিং সেন্টার আছে। সেখানে বর্তমানে ১০-১৮ বছর বয়সী ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী আছে। সপ্তাহে এক দিন আমি তাদের প্রশিক্ষণ দিই। মোহামেডানের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচও খেলেছে এখানকার মেয়েরা। বেশ কয়েকটি মেয়ে আছে যারা মোহামেডানে খেলার সুযোগ পেতে পারে। ভবিষ্যতে এখান থেকে ভালোমানের ক্রিকেটার গড়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করি। ক্লাবে তো বটেই, জাতীয় দলে খেলার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন ক্রিকেটার এখান থেকে উঠে আসবে।