পাকিস্তানের নাভেদ আলমের মেয়াদ শেষ। হকি ফেডারেশনকে তাই নতুন কোনো খুঁজতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে কে হবেন জাতীয় দলের নতুন কোচ? ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমত উল্লাহ বলেছেন এখনো আমরা টিক করতে পারেনি। কোরবানির ঈদের পর নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই নতুন কোচের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে। তবে রহমত উল্লাহর ব্যক্তিগত পছন্দ ইউরোপীয়ান কোচ। কেননা বর্তমান সময়ে আধুনিক হকির জন্য এশিয়ার চেয়ে ইউরোপীয়ান কোচ রাখাটাই ঠিক হবে। তবে নাভেদকে যে পারিশ্রমিক দেওয়া হতো ইউরোপীয়ান আসলে বেশি অর্থ গুণতে হবে। রহমত উল্লাহ অবশ্য এ নিয়ে ততটা চিন্তিত নন। তিনি বলেন, কোচের জন্য স্পন্সর খুঁজলেই পাওয়া যাবে। জানা গেছে, শুধু সাধারণ সম্পাদক নন, নির্বাহী কমিটির অনেকেই চান নতুন কোচ হিসেবে যেন কোনো ইউরোপীয়ানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফেডারেশন জার্মানি, স্পেন, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডের কয়েকজন কোচের নাম ঠিক করে রেখেছে। নির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্তের পর পর্যায়ক্রমে তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। এক্ষেত্রে ফেডারেশন আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের সভাপতি নেগ্রের সহযোগিতা চাইতে পারে। ঢাকায় দুইবার সফরকালে নেগ্রে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান বাংলাদেশের হকির মান বৃদ্ধির জন্য কোচ নিয়োগে সহযোগিতা করবেন। জানা গেছে নেগ্রের মাধ্যমেই বেলজিয়ামের এক কোচের সঙ্গে হকি ফেডারেশনে অনেক আগেই আলোচনা করেছিল। নাভেদ আলম দায়িত্ব নেওয়াতে বাংলাদেশ অন্য কোনো কোচের ব্যাপারে আগ্রহ আর দেখায়নি।
সামনে নির্বাহী কমিটি সভায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা থাকবে। এনিয়ে হতে পারে সদস্যদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও। কেননা এশিয়া কাপের ভরাডুবির পরই কেউ কেউ চেয়েছিলেন নাভেদ আলমকে অব্যাহতি দিতে। তা আর হয়নি। তারপরও এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানি কোচকে কেন রাখা হলো এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে জাতীয় দলের চার খেলোয়াড় জিমি, কামরুজ্জামান, পিন্টু ও জাহিদকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। চারজনই তাদের ভুল বুঝে শাস্তি প্রত্যাহারের আবেদন করেছে। ইচ্ছা করলেই ফেডারেশন তাদের শাস্তি মওকুফ করে এশিয়ান গেমসে পাঠাতে পারত। এ নিয়ে শুধু বাইরে নয় নির্বাহী কমিটিও কেউ কেউ ক্ষুব্ধ। এসব বিষয় নিয়ে সামনের বৈঠকে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে অনেকে ধারণা করছেন।