আইসিসির সভাপতি পদ থেকে আ হ ম মুস্তফা কামালের পদত্যাগের পর ক্রিকেটবিশ্ব এখন তোলপাড়। আইসিসির চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসন গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে চ্যাম্পিয়ন দল অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করেন মুস্তফা কামাল। তার দাবি, তাকে ট্রফি দিতে না দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কামালের সিদ্ধান্তে যেখানে পুরো জাতি গর্ববোধ করছেন, সেখানে কাল বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মিডিয়াকে জানালেন পুরো ঘটনা ছিল অপ্রত্যাশিত। তাই এই ঘটনার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে কোনো অবনতি হবে না বলেও জানান তিনি। গতকাল নাজমুল হাসান পাপন বলেন, 'এই ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হবে না। আমরা তো কোনো দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিনি। আমরা কথা বলেছি আম্পায়ারিং নিয়ে। কেন সে ম্যাচে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। সে কথা উল্লেখ করেছি।' কামালের পদত্যাগ সম্পর্কে পাপন বলেন, 'আমি অপ্রত্যাশিতভাবে ফাইনালের আগের দিনের সভায় থাকতে পারিনি। ওই সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল আইসিসির চেয়ারম্যান ট্রফি দেবেন। আইসিসিতে এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। এটা খুবই অপ্রত্যাশিত ছিল। আমি কয়েক ঘণ্টা আগে জেনেছিল মুস্তফা কামাল পদত্যাগ করেছেন। সব মিলে পুরো ঘটনাটাই ছিল অপ্রত্যাশিত।'
১৯ মার্চ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনালে বিতর্ক শুরু হয়। ওই ম্যাচে আম্পায়াররা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। এ নিয়ে আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসনের সঙ্গে কথাও বলেছেন পাপন, 'সিইও রিচার্ডসন আমাকে বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ তদন্ত করে দেখা হবে। প্রতিটি বল বিশ্লেষণ করা হবে।'