আধুনিক নাভ্রাতিলোভা কিংবা স্টেফিগ্রাফদের পর টেনিসে একক আধিপত্য বলতে গেলে অনেকটাই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আধুনিক টেনিসে সেই সুযোগ কোথায়। এখন শারাপোভা, আজারেঙ্কা, কেভিতোভা, স্টসার, হ্যালেপ কিংবা উজনিয়াকিরা সমানতালে লড়াই করছেন। তবে এই প্রতিযোগিতার মধ্যেও সেরেনা উইলিয়ামস ক্যারিয়ারের শেষ ধাপে এসে নিত্যনতুন রূপে আবির্ভূত হচ্ছেন প্রতিপক্ষদের সামনে। আর একেক জন শারাপোভা কিংবা আজারেঙ্কা উড়ে যাচ্ছেন সেরেনার ঝড়ে। উইলিয়ামস পরিবারের আধিপত্য যখন শেষ বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল, তখনই ফিরে এসেছিলেন সেরেনা। অতীতের চেয়ে বহুগুণ ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে। আর একের পর এক মেয়েদের টেনিসে লিখে চলেছেন রূপকথা। শনিবার রাতে আরও একবার টেনিস বিশ্ব দেখল সেরেনার জয়। মিয়ামি মাস্টার্সে তিনি স্পেনের কার্লা সুয়ারেজকে ৬-২, ৬-০ গেমে উড়িয়ে দিয়েছেন। এই নিয়ে মিয়ামিতে আটটা শিরোপা জিতলেন উইলিয়ামস পরিবারের ছোট মেয়ে।
ক্যারিয়ারে এককে ৭০২ নম্বর ম্যাচ জয় করলেন সেরেনা মিয়ামি মাস্টার্সের ফাইনালে। জয় করলেন ক্যারিয়ারের ৬৬ নম্বর একক শিরোপা। এককের শিরোপা জয়ে সেরেনার সামনে কেবল মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা (১৬৭), ক্রিস এভার্ট (১৫৭) এবং স্টেফিগ্রাফ (১০৭)। মেয়েদের টেনিসে এসব কিংবদন্তিদের ছাড়িয়ে যাওয়া সেরেনার পক্ষে হয়ত সম্ভব হবে না। তবে তিনি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ে সবাইকেই ছাড়িয়ে যেতে পারেন। গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টে ১৯টি শিরোপা জিতে ওপেন যুগের ইতিহাসে সেরেনা অবস্থান করছে দুই নম্বরে। সামনে কেবল ২২টি গ্র্যান্ডস্লামজয়ী স্টেফিগ্রাফ। কে জানে চলতি বছরই স্টেফিগ্রাফকে স্পর্শ করেন কি না সেরেনা! বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়া ওপেন জয়ের পর সেরেনার ফর্ম তো আরও বেড়েছেই। এবার ফ্রেঞ্চ ওপেনেও হয়ত জ্বলে উঠবেন তিনি! মিয়ামি ওপেনে টানা তৃতীয় (২০১৩-১৫) শিরোপা জিতলেন সেরেনা। এর আগেও অবশ্য এই রেকর্ড গড়েছেন তিনি (২০০২-০৪)। টানা তিনবার মিয়ামি ওপেন জয়ের ইতিহাস আছে কেবল স্টেফিগ্রাফের (১৯৯৪-৯৬)।