'বার্ধক্য তাহাই- যাহা পুরাতনকে, মিথ্যাকে, মৃত্যুকে অাঁকড়িয়া থাকে।' কিন্তু ১০০ বছরের বৃদ্ধা যখন নব যৌবনের উদ্দাম নিয়ে পানিতে লাফিয়ে পড়েন। 'সিন্ধু সেচে মুক্তো আনা'র মতোই যখন একের পর এক পদক জিততে থাকেন। তখন তাকে কি বলা যায়! নজরুল বোধহয় যৌবনকে এভাবেই সংজ্ঞায়িত করতে চেয়েছিলেন- বহু বৃদ্ধকে দেখিয়াছি যাহাদের বার্ধক্যের জীর্ণাবরণের তলে মেঘলুপ্ত সূর্যের মতো প্রদীপ্ত যৌবন। এ বৃদ্ধা যেন নজরুলের কথাগুলোই সত্য প্রমাণের জন্য শত বছরের এক তরুণীর রূপ নিলেন। তিনি জাপানের মিয়েকো নাগাওকা। জাপানের এক সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১৫০০ মিটার অতিক্রম করে রেকর্ড গড়েছেন। এই দূরত্ব অতিক্রম করতে তিনি এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট ও ৫৪.৩৯ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন। ৪ এপ্রিল এ প্রতিযোগিতা পূর্ব জাপানের মাতসুয়ামায় অনুষ্ঠিত হয়। শতায়ু হওয়া বর্তমান বিশ্বে অনেকটা বিস্ময়কর ব্যাপারই। বেঁচে বর্তে থাকলেও অনেকের বিছানাই হয় নিত্যসঙ্গী। বিপরীতে মিয়েকো নাগাওকা দিন দিন যেন যৌবন ফিরে পাচ্ছেন! মূলত ৮২ বছর বয়সে সাঁতার শিখতে হয়েছিল নাগাওকাকে শারীরিক এক রোগ দূর করতে। এরপর ধীরে ধীরে সাঁতারের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে থাকেন তিনি। ৮৪ বছর বয়সে সাঁতারু বনে যান। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জিততে থাকেন একের পর এক পদক। ৮৮ বছর বয়সে তিনি ৫০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে জিতেছিলেন ব্রোঞ্জ পদক। রৌপ্য পদক জিতেন তিনটি। বর্তমান পৃথিবীর জন্য একটা উদাহরণ হতে পারেন মিয়েকো নাগাওকা। বিশেষ করে তাদের জন্য যারা অতি সহজেই জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন!