পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয় ১৯৯৯ সালে। নর্দাম্পনে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় জয় পেতে দীর্ঘ ১৬ বছর অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে টাইগারদের। ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচেই পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন মাশরাফিরা। প্রথম ম্যাচ ৭৯ রানে এবং পরের দুই ম্যাচ ৭ ও ৮ উইকেটে জিতেছে। অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স। মাশরাফিদের এমন পারফরম্যান্সে মুগ্ধ সাবেক অধিনায়ক আশরাফুল, 'দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছেন মাশরাফিরা। ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং, তিন বিভাগেই দারুণ পারফরম্যান্স ক্রিকেটারদের। বিশ্বকাপে ভালো খেলার জন্যই এমন পারফরম্যান্স দলের।' সিরিজে বাংলাদেশ ভালো খেলেছে, না পাকিস্তান দুর্বল দল-পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পর এমন প্রশ্ন উঠছে। সবার মতো আশরাফুলও মনে করেন বাংলাদেশ যোগ্যতর দল হিসেবে জিতেছে। তবে পাকিস্তানকে খাটো করতে নারাজ টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান, 'পাকিস্তানকে আমি দুর্বল দল বলব না। ওদের সেরা ক্রিকেটারদের নিয়েই একাদশ সাজানো হয়েছে। তবে শহীদ আফ্রিদি, মিসবাহ-উল হক, ইউনিস খানদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটার না থাকায় সমস্যা হয়েছে। ওদের বোলিং কিন্তু খুবই শক্তিশালী। এই দল নিয়ে বিশ্বকাপে খারাপ করেনি পাকিস্তান।' ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও টি-২০ ক্রিকেটে যথেষ্ট শক্তিশালী দল পাকিস্তান। দলে আফ্রিদি ফেরায় শক্তিও বেড়েছে। এই দলকে হারাতে মাশরাফিদের কঠিন লড়াই করতে হবে, 'ওয়ানডে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত পাকিস্তান। তারা মরিয়া হয়ে আছে সিরিজে ফিরতে। আমি মনে করি সিরিজে ফিরতে মরণ কামড় দিবে তারা। বাংলাদেশকে জিততে হলে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভালো করতে হবে। তবে ওয়ানডে সিরিজ ভালো খেলায় মাশরাফিরা আত্দবিশ্বাসী। তবে আজকের ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারে।'