বড় বাধা অতিক্রম করল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শেখ রাসেল ২-০ গোলে ঢাকা আবাহনীকে পরাজিত করেছে। শেষ দুই মিনিটে জাহিদ ও এমিলির চমৎকার গোলে শেখ রাসেল পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করে। শক্তির বিচারে শেখ রাসেল ফেবারিট হয়ে মাঠে নামে। কিন্তু তারকা ভরা খেলোয়াড়দের নিয়েও এমিলি-মিঠুনদের পারফরম্যান্স চোখে পড়ছিল না। প্রথম দুই ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ঢাকা মোহামেডানের বিপক্ষে ঘাম ঝরানো জয় পেয়েছিল। পরের ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল মুক্তিযোদ্ধার কাছে হার মানে। তাই আবাহনীর সঙ্গে কী করবে এ নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে চিন্তার শেষ ছিল না। কারণ পেশাদার লিগে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতা দল আবাহনীতে এবার খুব একটা ভালো মানের খেলোয়াড় নেই। কিন্তু শেখ রাসেল ও শেখ জামালের পর তারাই বিগ বাজেটে দল গড়ে। অস্ট্রিয়ান কোচ কোটানের প্রশিক্ষণে তাদের প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে। লিগের প্রথম ম্যাচে রহমতগঞ্জের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করলেও পরের তিন ম্যাচে আবাহনী ছন্দময় খেলে পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করে। কোটান জোরালোভাবে বলেছিলেন, শিষ্যরা ভালো খেললে শেখ রাসেলকে হারানো সম্ভব।
না কোনো অঘটন ঘটেনি। শেখ রাসেলই বিজয়ের নিশানা উড়িয়েছে। আগের ম্যাচ হেরে এমিলিরা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন আবাহনীকে হারাতেই হবে। মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে হেমন্তকে বিতর্কিতভাবে লালকার্ড দেখালে গতকাল তাকে ছাড়াই শেখ রাসেল খেলতে নামে। কিন্তু তাতে কি, আত্দবিশ্বাস থাকলে কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। এমিলি, মিঠুন, জাহিদরা তা মাঠেই প্রমাণ করলেন। লিগে এখনো অনেক খেলা বাকি। কে চ্যাম্পিয়ন হবে এই হিসাব কষতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারালে মনোবলটা ভেঙে যাবে- এটা ভালোভাবেই জানত শেখ রাসেল। তাই আবাহনীকে দাঁড়ানোর সুযোগ দেননি এমিলিরা। কোচ দ্রাগান দুকানোভিচ বলেছিলেন, শেখ রাসেলের যে শক্তি তা মাঠে খেলোয়াড়রা প্রদর্শন করতে পারলে আবাহনীকে হারানোটা কোনো ব্যাপারই নয়। বাস্তবেও তাই হলো। তারকা ভরা শেখ রাসেল যে মাঠে চোখে ধরার মতো পারফরম্যান্স দেখাচ্ছিল তা বলা যাবে না। কিন্তু আবাহনী তো আবার একেবারে দুর্বল প্রতিপক্ষ ছিল না। জয়ের জন্য যে গতি দরকার ছিল তা কাজে লাগিয়ে লিগে তৃতীয় জয়ের মুখ দেখেছে ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত দল শেখ রাসেল। বিশেষ করে শেষ ৫ মিনিটে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে শেখ রাসেল। জাহিদ ও এমিলি জালে বল পাঠিয়ে মূল্যবান ৩ পয়েন্ট এনে দিলেন।