লিওনেল মেসির ছায়ায় অনেক তারকাই ঢাকা পড়ছিলেন। যেমন ইব্রাহিমোভিচ। সুইডিশ এ তারকা বার্সেলোনায় মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছেন কমই। তবে ন্যু ক্যাম্পে এসে মেসি এবং নেইমারের মতো তারকাদের পাশাপাশি লড়াই করেও সফল উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজ। চলতি মৌসুমে বেশ খানিকটা সময় ছিলেন নিষিদ্ধ। তারপরও সুয়ারেজ সফল। এরই মধ্যে লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বেশ কয়েকটা ম্যাচে। এমনকি মাঝে মধ্যে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন মেসি-নেইমারকেও। বার্সেলোনার এ ত্রয়ী এমএসএন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার পণ করেছেন যেন। চলতি মৌসুমে তিনজনে মিলে গোল করেছেন ৯৭টি (মেসি ৪৭, নেইমার ৩১ ও সুয়ারেজ ১৯)। এখনো পর্যন্ত ইউরোপীয়ান লিগগুলোতে কোনো ত্রয়ীর করা সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল তাদের। রোনালদো, বেনজেমা ও বেলে ত্রয়ী করেছেন ৮৯ গোল।
চলতি মৌসুমে লা লিগায় পাঁচটা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অন্তত ২টা ও কোপা দেল রে কাপে একটা মোট ৮টা ম্যাচ বাকি বার্সেলোনা। এমএসএন এই আট ম্যাচে কত গোল করবেন তা বলা মুশকিল। তবে বার্সেলোনার গোল মানেই এই ত্রয়ীর গোল। চলতি মৌসুমে এই বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন তারা। মেসি-নেইমার-সুয়ারেজ ছাড়িয়ে যাচ্ছেন বার্সেলোনার সব অতীত। ২০০৮-০৯ মৌসুমে মেসি, অঁরি ও ইতো ত্রয়ী বার্সেলোনার হয়ে করেছিলেন ১০০ গোল। ২০১১-১২ মৌসুমে ১০১ গোল করেছিলেন মেসি-সানচেজ-পেদ্রো ত্রয়ী। অবশ্য সেবার মেসি একাই করেছিলেন ৭৩ গোল! ২০০৮-০৯ মৌসুমের রেকর্ডটাকেই বার্সেলোনায় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। সেবার মেসি ৩৮, ইতো ৩৬ এবং অঁরি ২৬ গোল করেছিলেন। চলতি মৌসুমে অতীতের ওই রেকর্ডটাই ছাড়িয়ে যেতে পারেন মেসিরা। কেবল তাই নয় ২০১১-১২ মৌসুমে রোনালদো-বেলে-বেনজেমার করা ১১৮ গোলের রেকর্ডটাও টপকে যেতে পারেন তারা। আর মাত্র ২১টা গোল করলেই এমএসএন স্পর্শ করবেন বিবিসিকে।