সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসবে কিছুক্ষণের মধ্যেই। সারা দিন সিয়াম সাধনার পর রোজাদাররা অপেক্ষায় আছেন ইফতারের। অপেক্ষায় আছেন ভারতের অলআউট হওয়ার। মিরপুরের দর্শকদের এ অপেক্ষা শেষ হওয়ার আগেই আকাশ অন্ধকার করে জমা হলো মেঘ। নেমে এলো বৃষ্টি। রোজাদার দর্শকরা সংগৃহীত ইফতার নিয়ে ছুটলেন ছাতার খোঁজে। ক্রিকেটাররা আম্পায়ারের অনুমতিক্রমে ছুটে গেলেন ড্রেসিং রুমে। গতকাল ছিল বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে ৭৯ রানের জয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকা টাইগাররা গতকাল ফেবারিটের তকমা নিয়েই মাঠে নেমেছিল। অপরিবর্তিত একাদশই ছিল এর প্রমাণ। মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বৃষ্টি আসার আগেই ভারত ১৯৬/৮। প্রথম ম্যাচের নায়ক মুস্তাফিজ গতকালও বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগেই নিলেন ৫ উইকেট। ক্রিকেটীয় আনন্দ উৎসব আর বৃষ্টির হানা, এ সবের মধ্য দিয়েই গতকাল গ্যালারিতে ইফতার করলেন দর্শকরা। তবে বাইরে থেকে নিরাপত্তার কারণে খালি হাতে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে এসে অনেককেই গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা। অ্যাকুয়াফিনার পক্ষ থেকে হাফ লিটারের পানির বোতল পেলেও রোজাদারদের ইফতার প্যাকেট কিনতে কমপক্ষে ১০০ টাকা করে গুনতে হয়েছে। ইফতার প্যাকেটে ছিলো অর্ধেক কলা, অর্ধেক আপেল, ১টা করে আলুর চপ, পেঁয়াজু ও বেগুনী এবং কিছুটা মুড়ি ও ছোলা। এই দিয়েই ইফতার শেষ করতে হয়েছে রোজাদারদের। গ্যালারির ইফতার নিয়ে অসন্তুষ্ট এক দর্শক আলফানুতু বলছেন, 'এত দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর এ ইফতার সত্যিই অপর্যাপ্ত। তাছাড়া রাতের খাবারও তো আমাদের বাসায় ফিরেই সারতে হবে। তাও সেই গভীর রাতে।' কেবল গ্যালারির ইফতারই নয়, গতকাল মিডিয়া বক্সেও ইফতার ছিল অপর্যাপ্ত। লাইনের শেষের দিকে দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকদের অনেকেই ইফতার পাননি।