রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন- ডেল কার্নেগির বিখ্যাত এ উক্তিটি মনে রেখেই যেন প্রাণপণে নিজেকে সামলে নিলেন ভারতীয় অফ স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন। সামলে নেওয়ার পরও বারবার ‘বাংলাওয়াশ’ শুনে বিরক্ত কণ্ঠে বলে উঠলেন, আমরা ওয়াশ হওয়ার অপেক্ষায় নেই নিশ্চয়ই! তবে ভারতীয় টিম যে একটা সন্ধিক্ষণ পার করছে এটা অকপটে স্বীকার করলেন অশ্বিন।
বাংলাদেশের কাছে টানা দুই ম্যাচে বিধ্বস্ত হওয়ার পর স্বীকার না করে উপায়ই বা কি! যে দলটাকে স্বপ্নেও এ ক্যাটাগরিতে দেখেনি ভারত তারাই কি না হেসে-খেলে দুর্দান্ত ভারতীয় দলকে নাকানি-চুবানি দিচ্ছে! ভারতের কাছে তো কয়েক মাস আগেও বাংলাদেশ ছিল টেস্ট খেলায় অযোগ্য একটা দলের নাম। অথচ টানা দুটি ম্যাচ হারের পর এই মতবাদের প্রবক্তা সুনীল গাভাস্কারই বলে দিলেন, ওরা এখন বড় হয়ে গেছে। বাংলাদেশ কতটা বড় হয়েছে তার প্রমাণ হয়তো আজকের মিরপুর দেবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর পাকিস্তানের মতো চ্যাম্পিয়নদের বাংলাওয়াশ করার পর একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে ভারতও। তবে বাংলার আকাশে আজ যে সূর্য উদিত হবে বাংলাওয়াশের বার্তা নিয়ে তার ভিন্ন চিত্রটাও কল্পনা করে রাখার ইঙ্গিত দিলেন অশ্বিন। ভারত এখন ক্ষত-বিক্ষত সিংহ। ধোনির নেতৃত্বে নাকি তারা এতটাই ঐক্যবদ্ধ যে অধিনায়কের নির্দেশে প্রাণ বলি দিতেও পিছপা হবেন না কেউ। এ যদি কেবল কথার কথাও হয় তবু অশ্বিনের সাহসের প্রশংসা করতে হয়। ধোনি তো দলটাকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেনই। এ আর নতুন কি! অশ্বিনের বক্তব্য কেবল ধোনির নেতৃত্বের প্রতি একটা প্রচ্ছন্ন অনাস্থা তুলে ধরতে পারে।
টাইগারদের থাবা টানা দুই ম্যাচে। ওয়ানডে ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার ভারত ধরাশায়ী। এর দায় যে সিংহভাগই মুস্তাফিজুর রহমানের ওপর বর্তায় তা অশ্বিনের অজানা নয়। গতকাল সংবাদ সম্মেলনেও মুস্তাফিজ প্রসঙ্গ উঠল। অশ্বিন বললেন, ‘সে নিঃসন্দেহে একজন অসাধারণ বোলার। তাকে রুখার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমরা তো আর তাকে কিডন্যাপ করতে পারি না! তবে তাকে এখন অনেক বেশি চাপ সামলাতে হবে।’ মুস্তাফিজের প্রতি ভারতের সম্মানের কথাটা বেশ জোরেশোরেই জানিয়ে গেলেন ভারতীয় এ স্পিনার। আর জানিয়ে গেলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বারবার ফিরে আসার জন্য একটা যুৎসই কারণ খুঁজে পেল ভারত। অন্তত এ সিরিজ হারের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যও নাকি ভারত বাংলাদেশে আসতে মুখিয়ে থাকবে! যাক, টাইগাররা অন্তত ভারতের মতো একটা দলকে নিজেদের মুখাপেক্ষী করে রাখার ক্ষমতা অর্জন করেছে!
অশ্বিন অবশ্য আরও চমৎকার একটা বক্তব্য রেখে গেলেন। ভবিষ্যতে নাকি মিরপুরের মাঠে টাইগারদের আক্রমণে আরও অনেককেই ধরাশায়ী হতে হবে। জুলাইয়ে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের জন্য ‘বাংলাওয়াশ’ টাইপের একটা ম্যাসেজ রেখে গেলেন তিনি। ফুলচন্দন পড়ুক রবিচন্দনের মুখে!
শিরোনাম
- জনগণের ইচ্ছায় সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়েছি: প্রধান উপদেষ্টা
- ‘ওয়ার টু’ মুক্তির দুই দিনে পার করেছে ১০০ কোটির মাইলফলক
- রবিবার যেখানে আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘এরিন’
- মোরেলগঞ্জে ১৮ বছর পর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
- ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে জন্মাষ্টমী উৎসবে তিন বাহিনী প্রধান
- বিদেশে বাংলাদেশের সকল কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ
- কুমিল্লায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মা-শিশু নিহত, আহত ৩
- কাল যেসব এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
- হাতিরঝিলে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত, আহত চালক
- গ্রেফতার লামা আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিন ও তার পুত্র
- হাসনাত-সারজিস-জারাসহ এনসিপির ৫ নেতার শোকজ প্রত্যাহার
- গোপালগঞ্জ নয়, দেশের প্রথম ভ্যাকসিন প্লান্ট হবে মুন্সীগঞ্জে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
- ট্রেলার উন্মোচন ঘিরে বিতর্ক, ক্ষোভে ফুঁসছেন দেবলীনা
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র বিএনপি মানবে না : সেলিমা রহমান
- ঝালকাঠিতে হেলে পড়েছে পাঁচতলা ভবন, আতঙ্কে আশপাশের বাসিন্দারা
- শেবাচিম হাসপাতালে সচল হলো ৯৫টি অচল যন্ত্র
- আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ: মামুনুল হক
- বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের সূচি ঘোষণা আফগানিস্তানের
- ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতির চেতনা ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করা’
- সামনে নির্বাচনে আপনারা শাঁখা-সিঁদুর পরে ভোট দিতে যাবেন: স্বরাষ্ট্র সচিব
মুস্তাফিজকে তো কিডন্যাপ করতে পারি না!
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর