গত আসরের চ্যাম্পিয়ন। দলে রয়েছেন লুইস সুয়ারেজ, এডিসন কাভানির মতো তারকা ফুটবলার। অতীত ইতিহাসও অন্য যে কোনো দলের চেয়ে অনেক সমৃদ্ধ। এমন পরিসংখ্যান যার সঙ্গী, সেই উরুগুয়েই কোপা আমেরিকা কাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের পরিষ্কার ফেবারিট। কিন্তু ঘরের মাঠ বলে পিছিয়ে ছিল না অ্যালেক্সি স্যাঞ্চেজের চিলিও। ঘরের আবহাওয়া ও সমর্থকদের সুবিধা নিয়ে ঘটনাবহুল ম্যাচে চিলি শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে। ১-০ গোলে জিতে জায়গা করে নেয় সেমিফাইনালে। ৪ জুলাই ফাইনাল কোপা আমেরিকা কাপ জেতার দিকেই চোখ এখন চিলির।
ঘটনাবহুল ম্যাচে কাল ৯ জনে পরিণত হয় উরুগুয়ে। এই সুযোগটাকে পুরোপুরি কাজে লাগায় চিলি। তবে ম্যাচের অধিকাংশ সময়ই বলের দখল গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের। কাভানি-রোনালদের মুহুর্মুহু আক্রমণে বেসামাল হয়ে পড়ে চিলির রক্ষণভাগ। পাল্টা জবাবে হার্ড ট্যাকল করে চিলি উত্তেজিত করে তুলে উরুগুয়েকে। অবশ্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচেও ফিরে আসে স্বাগতিকরা। ২৫ মিনিটে দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ভিদালের শটই পাল্টে দেয় খেলার গতি। এরপর স্যাঞ্চেজ ড্রিবল করে ব্যতিব্যস্ত করে রাখেন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দল মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে। ৮১ মিনিটে খেলার একমাত্র গোলটি করেন মরিসিয়ো ইসলা। ভালদিভিয়ার দুর্দান্ত পাসে অসাধারণ দক্ষতায় গোল করে ন্যাশিওনালের গ্যালারি মাতিয়ে রাখেন। ইসলার গোলটির আগেই ১০ জনে পরিণত হয় উরুগুয়ে। দলের সেরা স্ট্রাইকার এডিসন কাভানি প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের জারাকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন। রেফারির বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি কাভানি। পরে সতীর্থরা তাকে মাঠের বাইরে বের করে দেন। ১০ জনের উরুগুয়ের দলের উপর মরিয়া জয়ে আক্রমণ চালায়। শেষ বাঁশির ৯ মিনিট আগে গোল করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে চিলি। ওই গোলের পর হার্ড ট্যাকলে ফুটবল খেলতে থাকে উরুগুয়ে। এরমধ্যে জর্জ ফুসিলেকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকার স্যাঞ্চেজকে ফাউল করলে রেফারি লাল কার্ড দেখান ফুসিলেকে। প্রতিবাদে লাইন্সম্যানকে ধাক্কা মারেন উরুগুয়ান ফুটবলাররা। রেফারি ফুটবলারদের বাধা দিলে তাকেও গালিগালাজ করেন উরুগুয়ের ফুটবলাররা।