টি-২০ সিরিজ নিয়ে খুব একটা মাতামাতি ছিল না। বাংলাদেশের লক্ষ্য হচ্ছে ওয়ানডে সিরিজ। তারপরেও টি-২০ সিরিজ হেরে যাওয়ার পর সমর্থকদের মনে শঙ্কা জাগা স্বাভাবিক। কিন্তু টি-২০ কিংবা টেস্টের চেয়ে, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি থাকে, নিজের মুখেই তা বললেন জাতীয় দলের ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবাল-
প্রশ্ন : ওয়ানডে খেলতেই কী বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
তামিম : আমার কাছে মনে হয়, আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস পাই ওয়ানডেতে। বেশ কয়েকটা সিরিজে আমরা ভালো খেলেছি। টেস্ট ও টি-২০ নিয়ে যে কথাটা বলা হয় সেটা ঠিক না। আমরা ঘরোয়া লিগে খুব কম টি-২০ খেলি।
প্রশ্ন : টি-২০ সিরিজ হারের কারণে ওয়ানডে চ্যালেঞ্জিং হবে কি না?
তামিম : যে কোনো সিরিজ হার দিয়ে শুরু হলে এটা তো ভালো জিনিস না। তাছাড়া ম্যাচ দুটোতে আমরা আরও ভালো খেলতে পারতাম। ওয়ানডেতে আমরা ভালো খেলছি। খেলাটাকে আমরা বুঝতে পারি। যে কারণে সাফল্য বেশি।
প্রশ্ন : ভারত-পাকিস্তান সিরিজের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পার্থক্য...
তামিম : ভারত-পাকিস্তান উপমহাদেশের শক্তিশালী দল। দক্ষিণ আফ্রিকাও খুবই ভালো। এই কারণেই তারা র্যাঙ্কিংয়ে ১-২তে আছে। ওদের বোলিং অ্যাটাকও ভালো। ব্যাটসম্যানও ভালো। পাকিস্তাান ও ভারতকে হারাতে যে পরিমাণ কষ্ট করতে হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতেও তেমন করতে হবে। এদের জন্য অতিরিক্ত কিছু করতে হবে বলে মনে করি না।
প্রশ্ন : এবি ডি ভিলিয়ার্স নেই...
তামিম : ডি ভিলিয়ার্সে মতো খেলোয়াড় না থাকলে যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্য এটা বড় সুবিধা। ও এমন এক ক্রিকেটার যে একাই ম্যাচ শেষ করে দিতে পারে। তবে আমাদের তো ১১ জনকে নিয়েই চিন্তা করতে হবে। ১১ জনকে নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।
প্রশ্ন : দুই দলের স্পিনের তুলনা...
তামিম : আমি এখনো বিশ্বাস করি, ওদের স্পিনারের চেয়ে আমাদের স্পিনাররা ভালো। তবে ওদের স্পিনারও ভালো। যদি তুলনা করতে বলেন তাহলে আমি আমাদের স্পিনারদের ৫/৬ গুণ এগিয়ে রাখব। এটা আমার বিশ্বাস।
প্রশ্ন : নতুন নিয়ম প্রসঙ্গে...
তামিম : নতুন নিয়মের সঙ্গে পুরোপুরি অভ্যস্ত হতে একটা-দুইটা ম্যাচ লাগতে পারে।
প্রশ্ন : টানা ক্রিকেট খেলার কারণে কি ক্লান্ত...
তামিম : ক্লান্তি কোনো ফ্যাক্টর হওয়া উচিত না। আমরা পেশাদার একটি দল। সবাই সবার দায়িত্ব বুঝি। আমারটা আমার বুঝতে হবে। আমি চেষ্টা করি নতুন একটি ম্যাচের আগে যতোটা সম্ভব স্ট্রং থাকার। সবাই সেভাবেই চেষ্টা করে। ক্লান্তি এখানে কোনো বিষয় নয়। ম্যাচের দিন সাধারণত কেউ রোজা রাখে না। এমনিতে যারা রোজা রাখে, তারাও ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে আসে।
প্রশ্ন : দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার সম্পর্কে...
তামিম : ওদের পেসাররা ম্যাচে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। ওদের স্পিনাররাই মূল প্রভাব ফেলেছে। ওই দুই স্পিনারই দুই ম্যাচে বেশি উইকেট পেয়েছে। ওদের পেসাররাও খুব ভালো লাইনলেন্থ বজায় রেখে বোলিং করেছে। উইকেটও একটু আলাদা ছিল। পাকিস্তান সিরিজে আমাদের যে কৌশল ছিল, এবার একটু আলাদা।
প্রশ্ন : সৌম্যর সঙ্গে ওপেন করতে কেমন লাগে...
তামিম : আমি আমার খেলাটা উপভোগ করছি। কারণ দুই পাশ থেকেই যদি রান তাড়াতাড়ি আসে তাহলে বোলারদের কাজটা কঠিন হয়ে যায়। ক্রিকেট এমন জিনিস, হয়তো একদিন আমার খুব ভালো টাইমিং হবে, পরের দিন আরেক জনের হবে। এভাবেই জুটি হয়। সৌম্য যেভাবে ব্যাটিং করে, সেটা আমি খুব পছন্দ করি।