এক দশক আগেও বাংলাদেশের বোলারদের জন্য ১০০ উইকেট শিকার করার বিষয়টা সহজ ছিল না। মোহাম্মদ রফিক বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে শততম উইকেট শিকার করলে চারদিকে ধুম পড়ে গিয়েছিল। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনায় এই মাইলফলক স্থাপন করেছিলেন রফিক। এরপর ক্রিকেটাঙ্গনে অনেক ঘাটেই তরী ভিড়িয়েছে টাইগাররা। এর মধ্যদিয়ে অর্জন করেছে অনেক কিছু। বিজয়ের যে পথে চলতে শুরু করেছিলেন রফিক-সুমনরা, সে পথ ক্রিকেটের অলি-গলি পেরিয়ে এখন মিশেছে মহাসড়কে। আর বোলারদের জন্যও খুলে গেল নিত্যনতুন রেকর্ডের দুয়ার। যেমন তাইজুল ইসলাম, প্রথম বোলার হিসেবে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন। আবুল হাসান ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে করেছিলেন সেঞ্চুরি। মোহাম্মদ রফিকের শততম উইকেটের মাইলফলকটা ধীরে ধীরে চাপা পড়ে গেল। ওয়ানডেতে নতুন মাইলফলকের নাম হলো 'টু-হান্ড্রেড ক্লাব'। ২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে ওয়ানডেতে এই মাইলফলক স্থাপন করেছিলেন বাংলাদেশের আরেক স্পিন লিজেন্ড আবদুুর রাজ্জাক রাজ। এবার তার পাশে নাম লেখানোর অপেক্ষায় আরও দুজন। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক 'ট্রু জেন্টলম্যান' মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং অপরজন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। টু-হান্ড্রেড ক্লাবে প্রবেশাধিকার পেতে আর মাত্র একটা উইকেট দরকার অধিনায়ক মাশরাফির। ১৫৬ ম্যাচে তার উইকেট ১৯৯। সাকিবের উইকেট ১৫৫ ম্যাচে ১৯৮। বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই প্রধান স্তম্ভ আজই হয়তো আবদুর রাজ্জাককে স্পর্শ করবেন! সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটি জিতিয়ে দলকে উপহার দিতে পারেন সিরিজের ট্রফিও!