মাশরাফিরা চট্টগ্রাম উড়ে যান সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে। সেই স্বপ্ন নিয়ে কাল মাঠেও নামেন। শুরু করেন রকেট গতিতে। কিন্তু বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেই গতির সামনে। ম্যাচে যখন সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার উপর পুরোপুরি চেপে বসে, তখনই ধুম বৃষ্টি। তাতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টিতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কালকের আগ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়েছে দুটি ম্যাচ। পরিত্যক্ত দুটি ম্যাচেই মাঠে বল গড়ায়নি একটিও।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের। অভিষেক ম্যাচে ৭৮ রানে হেরেছিল টাইগাররা। ওই বছর আরও দুটি ম্যাচ হয় জহুর আহমেদে। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারলেও পরের ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে হারিয়েছিল স্কটল্যান্ডকে। ২০০৭ সালে প্রথম ম্যাচটিই পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টিতে। মিরপুরে দুই ম্যাচ জিতে ভারত আগেই নিশ্চিত করে নিয়েছিল সিরিজ। তাই চট্টগ্রামের ম্যাচটির তেমন গুরুত্ব ছিল না। তবে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর তাড়না ছিল বাংলাদেশের। প্রকৃতিও সাহায্য করেছিল টাইগারদের। আগের দিন টানা বর্ষণে মাঠ ভেজা ছিল। ম্যাচের দিনও বৃষ্টি হয়েছিল। এখনকার মতো তখন এত ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা ছিল না। তাই মাঠ থেকে পানি সরানো সম্ভব হয়নি। টস হয়নি। ফলে মাঠে বল গড়ানোর আগেই পরিত্যক্ত হয় খেলা। মজার বিষয় ২০০৭ সালে ওই একটি ম্যাচই হয়েছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। পরের বছর ২০০৮ সালে দুই ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে আবার জয়ের ধারায় ফিরে। জিম্বাবুয়েকে হারায় যথাক্রমে ৬ ও ১ উইকেটে। পরের বছর ২০১০ সালে খেলা হয় তিনটি। তবে মাঠে গড়ায় দুটি। ইংল্যান্ডের কাছে ৪৫ রানে হারলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে নেয় বাংলাদেশ। মাঝের ম্যাচটি কোনো বল হওয়ার আগেই পরিত্যক্ত হয়। সেই ম্যাচ বাংলাদেশ খেলতে নামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটি জিতলে নিশ্চিত হতো সিরিজ। সিরিজ ফেরার সুযোগ ছিল আফ্রিকান প্রতিনিধিদেরও। কিন্তু বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয় খেলা। কালকের ম্যাচও ছিল সিরিজ নির্ধারণী। বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়ার আগে ২৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৭৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে 'টু হান্ড্রেড' ক্লাবের সদস্য হন সাকিব আল হাসান। এছাড়াও সনৎ জয়সুরিয়া, জ্যাক ক্যালিস, শহিদ আফ্রিদি, আব্দুল রাজ্জাক, ক্রিস কেয়ার্নস ও ক্রিস হ্যারিসের সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে ৪ হাজার রান ও ২০০ উইকেট ক্লাবের সদস্য হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। অবশ্য টাইগার অধিনায়ক মাশরাফিও টু হান্ড্রেড ক্লাবের সদস্য হন কাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দ. আফ্রিকা : ১৬৮/৯, ৪০ ওভার (আমলা ১৫, ডু প্লেসিস ১৭, মিলার ৪৪, ডুমিনি ৫১, বেহারডিয়েন ১২। মুস্তাফিজ ২/২৪, মাশরাফি ১/২৯, সাকিব ৩/৩৩, মাহমুদুল্লাহ ১/২০, রুবেল ২/২৯)। (অসমাপ্ত)