প্রথম পর্বে ১০ পয়েন্ট হারালেও দ্বিতীয় পর্বে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র উজ্জীবিত খেলা খেলছে। ব্রাদার্স, মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধাকে হারিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে। আজ তারা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে। নতুনরূপে দ্বিতীয় পর্বে শেখ রাসেলকে দেখা গেলেও আবাহনী কিন্তু দল হিসেবে মোটেই দুর্বল নয়। যদিও তারা পয়েন্ট তালিকায় বেশ পিছিয়ে পড়েছে। কিন্তু দলটা আবাহনী বলে যে কোনো সময়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ম্যাচটি শুরু হবে। শিরোপা লড়াই শেখ জামাল ও শেখ রাসেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে অনেকটা নিশ্চিত। জামাল ১৫ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। অন্যদিকে শেখ রাসেল দুই ম্যাচ কম খেলে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। শিডিউল যদি ঠিক থাকে তাহলে ২১ জুলাই বিকাল সোয়া ৪টায় শেখ রাসেল ও শেখ জামাল মুখোমুখি হবে। এ ম্যাচটিকে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ বলা হচ্ছে।
যাক সেই লড়াইয়ের আগে আজ শেখ রাসেলকে জিততেই হবে। পয়েন্ট হারালে শেখ জামাল সুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাবে। প্রথম পর্বে আবাহনীর বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল শেখ রাসেল। শিরোপা জেতার চ্যালেঞ্জ নিয়ে দ্বিতীয় পর্বে মাঠে নেমেছেন এমিলি, মিঠুন, জাহিদরা। মারুফকে কোচের দায়িত্ব দেওয়ার পর সত্যিই শেখ রাসেল ছন্দময় খেলা খেলছে। সে সঙ্গে ক্যামেরুন থেকে উড়ে আসা ইঙ্গাকা খেলাতে দলের শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইনজুরির কারণে জাহিদ ও হেমন্ত নিয়মিত খেলতে না পারলেও দ্বিতীয় পর্বে তারা মনোমুঙ্কর ফুটবল খেলছে। আগের ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে জাহিদ যে গোলটি করেছেন তা ঢাকার মাঠে সেরা গোল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। শেখ রাসেলের বড় প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে দ্বিতীয় পর্বে তারা তেমনভাবে গোল মিস করছে না। অলআউট ফুটবল খেলে একের পর এক জয় পেয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে আজকের ম্যাচে শেখ রাসেলই ফেবারিট। তারপরও পেশাদার লিগে সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা জয়ী দল আবাহনীকে হালকা করে দেখার উপায় নেই। মনে রাখতে হবে এই আবাহনীর কাছে প্রথম পর্বে হার মেনেছিল অপরাজিত থাকা শেখ জামাল। সুতরাং এরা কখন কি করে ফেলে বলা মুশকিল।
শেখ রাসেল তা মাথায় রেখেই আজ মাঠে নামছে। কোচ মারুফ বলেছেন, আমাদের টার্গেট শিরোপা। তাই প্রতিটি ম্যাচ জিততেই মাঠে নামব। আর আবাহনীকে হালকা ভাবার প্রশ্নই ওঠে না। পুরো দল সতর্ক হয়ে মাঠে নামবে। বড় ম্যাচে এমনিতেই গোলের সুযোগ কম আসে। তাই সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয় লক্ষ্য রাখতে হবে। শিরোপা পথে এগুতে হলে আজকের ম্যাচ জিততেই হবে। ছেলেরা যে পারফরম্যান্স প্রদর্শন করছে তাতে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। অধিনায়ক মিঠুন বলেন, আমরা জেতার জন্য মাঠে নামব। আশা রাখি সমর্থকদের হতাশ করব না। অন্যদিকে আবাহনী ফুটবল দলের ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু বলেন, ঘুরে দাঁড়াতে হলে শেখ রাসেলকে হারাতে হবে। ওরা শক্তিশালী দল এটা আমরা মানলাম। কিন্তু আবাহনী যে জ্বলে উঠতে পারে তা মাঠে প্রমাণ দিতে চাই।