দেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার জাহিদ হোসেন। এ মুহূর্তে কুশলী ফুটবলারের অভাব থাকলেও জাহিদের ছন্দময় খেলা দর্শকদের মুগ্ধ করে ছাড়ছে। তবু দুর্ভাগ্য বলতে হয় এই তারকার। অধিকাংশ সময়ে ইনজুরির কারণে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়। তাছাড়া কোনো কোনো সময়ে তাকে আবার ম্যানেজমেন্টের হস্তক্ষেপে রির্জাভ থেকে বসিয়ে রাখা হয়। সত্যি কথা বলতে কি জাহিদকে নিয়ে ষড়যন্ত্র কম হয় না। অথচ জাতীয় বা ক্লাবের নির্ভরযোগ্য তারকা তিনিই। জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলাররা জাহিদের পারফরমেন্সে মুগ্ধ। অনেকে আবার তাকে সাবি্বরের সঙ্গে তুলনা করেন। প্রতিপক্ষের দেয়াল ভেঙে যেভাবে গোলের উৎস তৈরি করেন এক কথায় অসাধারণ।
বাংলাদেশের এমন কোনো বড় দল নেই যে জাহিদ খেলেননি। প্রতিটি দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। এবার খেলছেন দেশের সবচেয়ে আলোচিত দল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রে। প্রথম পর্বে ইনজুরি থাকার কারণে তার ঝলক ততটা দেখা যায়নি। দ্বিতীয় পর্বে জাহিদ যেন জ্বলন্ত বারুদ। গতিময় ও ছন্দময় খেলা খেলে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ দিশেহারা করে ফেলছেন। সতীর্থদের বল জোগান দিতে তার জুড়ি নেই। প্রথমপর্বে মুক্তিযোদ্ধার কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যায় শেখ রাসেল। অথচ দ্বিতীয় পর্বে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে একই প্রতিপক্ষকে। সেদিন যদি মুক্তিযোদ্ধা আরও বড় ব্যবধানে হারতো অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। ম্যাচে জাহিদ গোল করেছেন ১টি। কিন্তু তার সেই গোল নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। না হয়েও উপায় নেই, কেননা লোকাল ফুটবলে এমন সুন্দর গোল কেউ করতে পেরেছেন কিনা তা কারোর স্মৃতিতে জাগছে না। নিজে গোল করছেন সতীর্থদের গোল করাচ্ছেন। একজন দক্ষ ফুটবলার বলতে যা বুঝায় তার সব গুণাবলীই জাহিদের মধ্যে রয়েছে। অপ্রতিরোধ্য জাহিদ আজ ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে কেমন খেলবেন সেই অপেক্ষায় রয়েছেন শেখ রাসেলের সমর্থকরা। সত্যি বলতে কি শিরোপা লড়াইয়ে এগিয়ে যেতে হলে আজ আবাহনীকে হারাতেই হবে। জাহিদ বলেছেন, শেখ রাসেলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে প্রতিটি ম্যাচেই জ্বলে উঠতে চান। দ্বিতীয়পর্বে এমনিতেই উজ্জীবিত। তারপর যদি জাহিদ তার গতিময় পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেন তাহলে আজ আবাহনী কেন শিরোপার নিশানা শেখ রাসেলেরই ঘর উড়বে তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।