ওপেনারদের 'ঘাতক' ওপেনার
চট্টগ্রাম টেস্টে ওপেনারদের ঘাতক হয়ে উঠেছে ওপেনাররাই। বাংলাদেশি দু ওপেনারকে উদ্বোধনী জুটিতে যখন অসাধারণ খেলে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন প্রোটিয়া অধিনায়ক বল তুলে দিয়েছেন ওপেনার ব্যাটসম্যান ও অনিয়মিত বোলার ফন জিলের হাতে। জিল টাইগার ওপেনার কায়েসকে সাজঘরে ফিরিয়ে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তামিম ও রিয়াদ গড়েন ৮৯ রানের জুটি। আমলা এবার বল তুলে দেন প্রোটিয়ার আরেক ওপেনার ও অনিয়মিত বোলার ডিন এলগার হাতে। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে ডিন এলগারও সাজঘরে ফেরার আরেক ওপেনার তামিমকে।
বিসিবির ঘোষণা
প্রোটিয়া পেসার ডেল স্টেইন ফিল্ডিং ও নেট অনুশীলন করার সময় বাজে বাজে মন্তব্য করেন কয়েকজন দর্শক। পরে প্রোটিয়াদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বিসিবির কাছে অভিযোগ করা হয়। বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার চলমান টেস্টে ফের এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উদ্যোগ নেয় বিসিবি। সাম্প্রদায়িক, বর্ণবাদসহ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খেলার বিভিন্ন বিরতিতে সতর্কমূলক ঘোষণা দেওয়া হয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। ঘোষণায় বলা হয়- দর্শকরা মানহানিকর কোনো আচরণ করলে স্টেডিয়ামে আজীবন নিষিদ্ধসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছক্কা খরার ম্যাচ
প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ডু প্লেসিস, ডি কক, ডুমিনি বাংলাদেশের তামিম, ইমরুল, রিয়াদের ছক্কা মারার খ্যাতি রয়েছে বেশ। সেটা হোক টেস্ট কিংবা ওয়ানডে। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টের দু দিনে মাত্র একটা ছক্কা দেখেছে দর্শকরা। তা আসে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকের হাত ধরে। হার্ড হিটার ব্যাটসম্যানরা ছক্কা হাঁকাতে না পারায় কার্যত ছক্কা খরায় ভুগছে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম।
প্রতি সেশনের ৭৩
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দুই সেশনে স্বাগতিকরা প্রতি সেশনে সংগ্রহ করে ৭৩ রান করে। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ দলের রান ছিল সাত। দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান ছিল ৮০। বিনিময়ে হারাতে হয়েছিল দুই উইকেট। তখন ক্রিজে থাকা তামিম ইকবালের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ৩০ রান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ছিলেন ১২ রানে অপরাজিত। আর স্টিয়ান ভ্যান জিলের বলে ডি কককে ক্যাচ তুলে দিয়ে ২৬ রান করে ফিরে যান ইমরুল কায়েস। আর সিমন হারমারের বলে বোল্ড হয়ে ৬ রানে ফিরে যান মুমিনুল হক। দ্বিতীয় সেশনে চা পানের বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৫৩ রান।
দুপুরে ফ্লাডলাইট
সকাল থেকেই চট্টগ্রামের আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। কোথায়ও কোথায়ও বৃষ্টিও হয়েছে। তবে তাতে আলোর ঘাটতি ছিল না। কিন্তু দুপুর ২ টায় হঠাৎ কালো হয়ে উঠে আকাশ। তাই আলো স্বল্পতার কারণে জ্বলে উঠে ফ্লাডলাইট। সাধারণত দিবা-রাত্রির ওয়ানডে ম্যাচে ফ্লাডলাইটের ব্যবহার থাকলেও টেস্ট ম্যাচে এতো 'আলোর বন্যার' প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তৃতীয় সেশনে ফ্লাড জ্বালাতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এর ঠিক এক ঘণ্টা পরেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে মাঠ ছেড়ে যেতে হয় আম্পায়ার ও প্লেয়াররা। পরে বৃষ্টি থেমে গেলে শুরু হয় খেলা।
ব্যর্থ মুমিনুল
'লিটল মাস্টার' মুমিনুল চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে নামলেই রানের ফোয়ারে ভাসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে নামার আগেই ১৬৫ রান গড়সহ করেন তিন সেঞ্চুরি ও এক অর্ধশত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ফের বড় একটি ইনিংসের আশা করেছিল টাইগার সমর্থকরা। কিন্তু তাদের আশাহত করে হারমারের বলে বোল্ড হয়ে মাত্র ছয় রানে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল।