মাস তিনেক আগেই যে পাকিস্তান বাংলাদেশে এসে হোয়াইটওয়াশ হয়ে গেল সেই দলটার বিরুদ্ধেই কিনা ঘরের মাঠে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হারালো শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারছে না লঙ্কানরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। শেষ ম্যাচটি এখন নিছক আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। শ্রীলঙ্কা দলের এমন বেহাল দশা হয়েছে কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়বর্ধনের অবসর নেওয়ার পরই। দুই গ্রেট ক্রিকেটারের অভাব কোনোক্রমেই পূরণ করতে পারছে না দলটি। বেশ কয়েক বছর থেকেই শ্রীলঙ্কাকে যেন টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিন ব্যাটিং স্তম্ভ সাঙ্গাকারা, জয়বর্ধনে ও দিলশান। প্রতিটি ম্যাচেই তিনজনের কেউ না কেউ বড় স্কোর করতেন। আর যেদিন তিনজন ব্যর্থ হতেন সেদিন লঙ্কানদের হার অবধারিত। কিন্তু গত বিশ্বকাপে সাঙ্গাকারা ও জয়বর্ধনে একসঙ্গে অবসর নেওয়ার পর দলে যে 'মহাশূন্যতা' তৈরি হয়েছিল তা পূরণ হয়নি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কার সেই লড়াকু চেহেরাটা দেখা যায়নি। এদিকে শ্রীলঙ্কার দুর্দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারায় মানসিকভাবেই যেন ভেঙে পড়েছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। দেশে ফিরে তারা সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হয়েছেন। অবশেষে শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জিতে কিছু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে এখন আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে আটে উঠে এসেছে পাকিস্তান। তবে এখনো তাদের চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত হয়েছে একথা বলা যাবে না। কেননা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অবস্থান ধরে রাখতে হবে। অবশ্য এখানে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী একমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জিম্বাবুয়েতে -ত্রিদেশীয় সিরিজের পরই নিশ্চিত হয়ে যাবে কে চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে খেলার সুযোগ পাচ্ছে- পাকিস্তান নাকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম-এফটিপিতে এই ট্যুরের সূচি ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা থেকে বিরতি রাখতেই কিনা ত্রি-দেশীয় সিরিজের আয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজে হারিয়ে সাত নম্বরে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করেছে। এখন উল্টো ষড়যন্ত্রের কুশীলব পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করতে হবে!