বাংলাদেশ ক্রিকেট দল চট্টগ্রাম থেকে ফিরে গতকাল এক দিনের সংক্ষিপ্ত ছুটি কাটানোর পর আজ থেকে মিরপুর টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে মাঠে নামছে। গতকাল বিমানে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসার পর সারা দিন ছুটির মেজাজে ছিল পুরো দলই। চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করে মুশফিকুর রহীমের দলের সঙ্গেই ঢাকায় ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল।
বৃষ্টিবিঘ্নিত চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে গতকাল অনানুষ্ঠানিক ছুটি কাটায় বাংলাদেশ দল। ফলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নেমে টিম হোটেলে না ফিরে ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে বসেন প্রায় সবাই। নিজেদের মতোই ঘুরে ফিরে দিন কাটান ক্রিকেটাররা।
বোর্ডের কঠোর নির্দেশের কারণে কথা বলতে রাজি হননি কেউই। চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম অর্ধশতকের দেখা পাওয়া লিটন দাস বার বার মনে করিয়ে দিলেন সেটা। রাজি হননি কোনো বিষয়েই মন্তব্য করতে। শুধু জানান, দলের অন্য সবার মতোই ছুটির মেজাজে কাটিয়েছেন পুরো দিন।
আজ থেকেই অবশ্য টেস্ট জয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করবেন সবাই। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চলবে অনুশীলন। তবে বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় রেখে বলা চলে অনুশীলনের বেশিরভাগটা হয়তো করতে হবে ইনডোরেই। ক্রিকেটারদের অবশ্য গতকাল রাতের মধ্যেই আবারও হোটেলে এসে দলের সাথে যুক্ত হবার কথা ছিল।
আগামী বৃহস্পতিবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে শুরু হবে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের আগে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ এ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এরপর চট্টগ্রাম টেস্টেও শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিরুদ্ধে দাপুটে নৈপুণ্য দেখায় বাংলাদেশ।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ জুলাই ২০১৫/শরীফ
'সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ পশ্চিমাদের ভণ্ডামি'
অনলাইন ডেস্ক
সিরিয়ায় তৎপর উগ্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে পশ্চিমারা ভণ্ডামি করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। রাজধানী দামেস্কে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের এক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ এ কথা বলেন।
বাসার পরিষ্কার ভাষায় বলেন, 'সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে পশ্চিমারা ভণ্ডামির পথ বেছে নিয়েছে। সিরিয়ায় যেসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সহিংসতা চালাচ্ছে তাদেরকে পশ্চিমারাই তৈরি করেছে। তার সরকার ও জনগণ এই সহিংসতা কখনই চায়নি, স্রেফ তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।'
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট তার দেশে তৎপর সন্ত্রাসীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, 'যখন এসব সন্ত্রাসী পশ্চিমাদের ওপর আঘাত করে তখন তারা হয়ে যায় সন্ত্রাসী আর যখন আমাদের ওপর আঘাত করে তখন তারা হয় 'বিপ্লবী, স্বাধীনতাকামী, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষের শক্তি।'
সন্ত্রাসবাদকে তিনি অশুভ আদর্শ ও ভ্রান্ত পরিকল্পনা আখ্যায়িত করে বলেন, 'এই অস্বাভাবিক চর্চার ফলে সমাজে অজ্ঞতা ও পশ্চাদপদতা সৃষ্টি হয়। বিশ্বের বলদর্পী এবং ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো এসব সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সৃষ্টি করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, 'সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমা শক্তিগুলোই আইএসসহ সব সন্ত্রাসীগোষ্ঠীকে শক্তিশালী করেছে এবং এখনো তারা শক্তি যুগিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, 'যারা সন্ত্রাসবাদের এই বীজ বুনেছে তারা কিভাবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে?'
প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ জানান, চলমান সংকট নিরসনে যেকোনো ইতিবাচক পদক্ষেপকে তিনি স্বাগত জানাবেন কারণ তার সরকার সহিংসতার অবসান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এজন্য তার সরকার সব ধরনের সুযোগকে কাজে লাগাতে প্রস্তুত রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ জুলাই ২০১৫/শরীফ