২০১৪ সাল থেকে আইসিসিতে আধিপত্য বিস্তারকারী ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গড়া ‘তিন মোড়ল’ প্রথা বিলুপ্তি হচ্ছে। এজন্য আইসিসির গঠনতন্ত্র ও প্রশাসনিক ক্ষমতায় ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। গতকাল বুধবার দুবাইয়ে আইসিসির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে মূল ক্ষমতাধর করে আইসিসির সংবিধানে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, সেটিকে পুনর্বিবেচনা করবে আইসিসি।
নতুন নীতিমালা বাস্তবায়ন হওয়া মানেই, তিন মোড়লের ক্ষমতা হ্রাস পাবে। সংশোধনী গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসির চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন। ২০১৪ সালের আইসিসির সাবেক চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসনের আমলে আইসিসির গঠনতন্ত্রে যেসব সংশোধনী আনা হয়েছিল তাতে তিন মোড়লের আধিপত্য বিস্তারের বিস্তর সুযোগ ছিল। যা এখন থেকে আর থাকবে না।
আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রসঙ্গে সংশোধনীতে বলা হয়েছে, আইসিসির স্বতন্ত্র অডিট কমিটির চেয়ারম্যানের অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচিত চেয়ারম্যানের মেয়াদ দুই বছর। শুধু তাই নয়, কোন চেয়ারম্যান তিনবারের অধিক এই পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না। চেয়ারম্যান হওয়ার পর, তিনি আইসিসির সদস্য কোন ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না।
শুধু তাই নয়, চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে বর্তমান বা সাবেক আইসিসির নির্বাহী সদস্য বা ডিরেক্টর হতে হবে। এছাড়া প্রার্থীকে দুজন পূর্ণ সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন হবে।
সংশোধিত নিয়মানুয়ায়ী ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে আইসিসির নির্বাহী কমিটি, ফিন্যান্স ও কমার্শিয়াল অবকাঠামোতে এই তিন ক্রিকেট শক্তির (ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া) স্থায়ী পদ অবলুপ্ত হবে।
এসবই হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহরের নেতৃত্বে। যদিও তিনি অনানুষ্ঠিকভাবে পালন করছেন আইসিসির চেয়ারম্যান পদ। তার নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটি। এপ্রিল মাসে হবে একটি সভা। তারপর থেকে সংশোধিত সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নের পথে নিয়ে যেতে শুরু করবে এই কমিটি।
নীতিমালা সংশোধন প্রসঙ্গে শশাঙ্ক মনোহর বলেছেন,‘ আমরা বেশ কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সভা করেছি। আইসিসিতে স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে আইসিসির সব সদস্যই সমান। কেউ কারো চেয়ে বড় নয়।’
বিডি-প্রতিদিন/০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব