অনেক ম্যাচে প্রতিপক্ষকে একাই দেওয়ার দেওয়ার কীর্তি আছে তার। এজন্য মারলন স্যামুয়েলসের ১২৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংসই হয়তো ক্যারিবীয়ানদের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিল। কিন্তু এবার আর হিসাব মিললো না। বৃথাই গেল শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে স্যামুয়েলস ও দিনেশ কার্তিকের মহামূল্যবান ইনিংস দুটি। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছুঁড়ে দেয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্যটা যে ৬ উইকেট আর ৮ বল বাকি থাকতেই টপকে অস্ট্রেলিয়া। আর দুর্দান্ত এই জয়ের পাশাপাশি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালও নিশ্চিত করেছে স্মিথ বাহিনী।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৩৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার উসমান খাজা (১৭) ও অ্যারন ফিঞ্চকে (১৬) সাজঘরে পাঠিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিসের। কিন্তু অজিদের হয়ে তখনই দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। পরে জর্জ বেইলির (৩৪) সঙ্গে ৬৪ ও চতুর্থ উইকেটে মিচেল মার্শের সঙ্গে ১২২ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে রাখেন স্মিথ। ১০৭ বলে রান আউট হয়ে বিদায় নেওয়ার আগে স্মিথ দলীয় স্কোরে যোগ করেন ৭৮ রান। এরপর ৬২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন মার্শ (৭৯) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (২৬ বলে ৪৬)। কার্লোস ব্রাথওয়েট, সুলেমান বেন ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েল একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে বার্বাডোজে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১ রান তুলতেই তিন উইকেট হারায়। এরপর দিনেশ রামদিনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন স্যামুয়েলস। দু'জনের ১৯২ রানের পার্টনারশিপই ২৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে দেয়। ৯২ বলে ৩ ছক্কা আর ৫ চারে ৯১ রান করেন রামদিন। আর ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ১৩৪ বলে ১২৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন হারলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে স্যামুয়েলসের হাতেই। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে তার ঝকঝকে ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও দু’টি ছক্কার মার। শেষ দিকে কাইরন পোলার্ডের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।
অজিদের হয়ে মিচেল স্টার্ক তিনটি, জেমস ফকনার ও স্কট বোল্যান্ড দু’টি করে আর জস হ্যাজেলউড একটি উইকেট নেন।
ফাইনাল নিশ্চিত করতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে বড় জয়ের কোনো বিকল্প নেই ক্যারিবীয়দের। শুক্রবার একই ভেন্যুতে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় ম্যাচটি শুরু হবে। ফাইনাল ২৬ জুন।
বিডি-প্রতিদিন/২২ জুন, ২০১৬/মাহবুব