মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্সকে হারিয়ে ৬ ম্যাচে পাঁচ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে নাঈম ইসলামের রংপুর রাইডার্স। ৭ ম্যাচে পাঁচ জয়ে সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পিছিয়ে খুলনার অবস্থান দুইয়ে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান সংগ্রহ করে খুলনা টাইটান্স। পরে সহজ টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারও ব্যর্থ হন সৌম্য সরকার। রংপুরের এই ওপেনার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খানের বলে বিদায় নেন। শফিউল ইসলামের তালুবন্দি হওয়ার আগে ১৩ বলে মাত্র ৩ রান করেন সৌম্য। দলীয় ১৩ রানের মাথায় রংপুর প্রথম উইকেট হারায়।
এরপর জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিঠুন এবং মোহাম্মদ শাহজাদ। এই জুটি থেকে আসে ৭৪ রান। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ফেরেন শাহজাদ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে অলোক কাপালির হাতে ধরা পড়ার আগে তিনি ৩৮ বলে চারটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৩৭ রান। দলীয় ৮৭ রানের মাথায় রংপুর তাদের দ্বিতীয় উইকেট হারায়।
শাহজাদের বিদায়ের পর আফ্রিদিকে নিয়ে ম্যাচের জয় নিশ্চিত করেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার ৪১ বলের করা ৪৯ রানের ইনিংসে ছিল একটি চার আর তিনটি ছক্কার মার। জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে এক চার ও এক ছক্কায় ২৬ রানে সাজঘরে ফেরেন আফ্রিদি।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে খুলনার দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার এবং আবদুল মজিদ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে আরাফাত সানির বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে যান ১৩ বলে ১০ রান করা মজিদ। এরপর পঞ্চম ওভারে আবারও আক্রমণে আসেন সানি। চতুর্থ বলে আরেক ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারকে এলবির ফাঁদে ফেলেন এই টাইগার স্পিনার। ৮ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন প্লেচার। দলীয় ২০ রানের মাথায় দুই উইকেট হারায় খুলনা। ইনিংসের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে খুলনার দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে ফিরিয়ে দেন আফ্রিদি। আনোয়ার আলীর তালুবন্দি হওয়ার আগে রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। দলীয় ৩৮ রানে খুলনার তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।
রিয়াদের বিদায়ের পর জুটি গড়েন তাইবুর রহমান এবং রিকি ওয়েসেলস। এ জুটি থেকে আসে আরও ৫৬ রান। ইনিংসের ১৭তম ওভারে এসে টাইগার পেসার রুবেলন হোসেন রংপুরকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। রিকির বিদায়ে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে ৯৪ রানের মাথায়। একই ওভারে তাইবুরকেও ফিরিয়ে দেন রুবেল। রিকি রংপুর দলপতি নাঈম ইসলামের তালুবন্দি হওয়ার আগে করেন ৩৩ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২৭ রান। আর মোহাম্মদ শাহজাদের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে তাইবুর ৩৭ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় ৩২ রান।
শেষ ওভারের প্রথম বলে বেনি হাওয়েলকে বোল্ড করেন আফ্রিদি। শেষ ওভারে আফ্রিদিকে দুটি ছক্কা হাঁকানো আরিফুল হক ১৩ বলে ২২ রান করে শেষ বলে রানআউট হন। অলোক কাপালির ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৩ রান।
বিডি-প্রতিদিন/২২ নভেম্বর, ২০১৬/মাহবুব