স্পট ফিক্সিংয়ের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্কটা বেশ পুরোনো। সদ্য শেষ হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দ্বিতীয় আসরেও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে আনা হয় স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় দলের ৫ জন ক্রিকেটার। আর তারই রেশ ধরে এবার স্পট ফিক্সিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন পাকিস্তান দলের টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ উল হক।
এ ধরণের ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে ৪২ বছর বয়সী মিসবাহ বলেছেন, এই ধরনের দুর্নীতির সাথে যারাই জড়িত থাকবে তা প্রমাণিত হলে তাদেরকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হোক। পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই অধিনায়ক মনে করেন, "সম্প্রতি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে এই ধরনের ঘটনায় পাকিস্তানী ক্রিকেটের ইমেজ আরেকবার নষ্ট হয়েছে। এর ফলে গত সাত বছর ধরে রীতিমত লড়াই করে ফিরিয়ে আনা পাকিস্তানি ক্রিকেটের ইমেজ আরেকবার ধ্বংসের মুখে পড়েছে বলেই তার মত।"
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য এরই মধ্যে অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছেন। পিসিবির দুর্নীতিবিরোধী কোড ভঙ্গের দায়ে জাতীয় দলের শারজিল খান, খালিদ লতিফ, নাসির জামশেদ, মোহাম্মদ ইরফান ও শাহাজিব হাসানকে বিভিন্ন মেয়াদে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে পিএসএল শুরুর প্রথম সপ্তাহেই নিষিদ্ধ হন শারজিল ও লতিফ। বাকি ৩ জনের বিপক্ষে পরবর্তীতে অভিযোগ আনা হলে তাদের বিষয়গুলো এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে শারজিল, লতিফ ও শাহাজিবের কমপক্ষে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা হতে পারে। অন্যদিকে ইরফানকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জামশেদকে সন্দেজভাজন একজনের সাথে আটক করা হলেও পরবর্তীতে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়।
তবে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য সুখবর হলো, ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মিসবাহর নেতৃত্বাধীন দলে ফিরে এসেছিলেন তরুণ পেসার মোহাম্মদ আমির।