টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে ধৈর্যের খেলা, ধৈর্যের অগ্নিপরীক্ষা দিয়েই ক্রিকেটারদের নিজ সামর্থের প্রমাণ দিতে হয় এ সংস্করণে। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার রাঁচির টেস্ট ম্যাচটিতে সেই অগ্নিপরীক্ষায় বেশ দৃঢ়তার সাথেই নিজেদের মেলে ধরেছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও শন মার্শ। তাদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছে রাঁচি টেস্ট।
রাঁচি টেস্টের পঞ্চম দিনে উইকেট পড়েছে মাত্র চারটি। ফলে তিন টেস্ট শেষেও ঝুলে রইল বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির ভাগ্য। ধর্মশালায় শেষ টেস্টেই হবে ফয়সালা।
এর আগে চতুর্থ দিন বিকেলে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছিল দুই উইকেট। শেষ দিন সকালে প্রথম ঘণ্টা নিরাপদেই কাটিয়ে দেন ম্যাট রেনশ ও স্টিভ স্মিথ। কিন্তু এরপর দুজনই বিদায় নেন মাত্র চার বলের মধ্যে।ইশান্ত শর্মার দারুণ বোলিংয়ে এলবিডব্লিউ হন রেনশ। তার আগে তরুণ এ ওপেনার আরও একবার প্রমাণ রেখেছেন তার স্কিল ও টেম্পারামেন্টের। ১৫ রান করেছেন ৮৪ বলে। অধিনায়ক স্মিথকে বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।
তবে শেষ দিনের উইকেটে অসাধারণ দৃঢ়তা, ধৈর্য আর স্কিল দেখিয়ে দুজন কাটিয়ে দেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ৫ ঘণ্টার বেশি উইকেটে কাটান দুজন। ১২৪ রানের জুটি গড়েন ৬২ ওভার খেলে! শেষ সময়ে জাদেজা ভেঙেছেন এই জুটি। ১৯৭ বলে ৫৩ রানে ফিরেছেন মার্শ। অশ্বিন দ্রুত ফিরিয়ে দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া তখন নিরাপদ আশ্রয়ে।
হ্যান্ডসকম্ব অপরাজিত থেকে ফিরেছেন দলকে বাঁচানোর তৃপ্তি নিয়ে। সিরিজের আগের সব ইনিংসেই দুই অঙ্ক ছুঁয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। এবার দলের ভীষণ প্রয়োজনের সময় খেললেন মহামূল্যবান এক ইনিংস। ২০০ বলে অপরাজিত ৭২!
শেষ দিনে ম্যাচ বাঁচিয়ে শেষ টেস্টের আগে দারুণ আত্মবিশ্বাসও পেয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচ শুরু শনিবার, টেস্ট অভিষেক হবে ধর্মশালার।
অস্ট্রেলিয়া ৪৫১ ও ২০৪/৬ (আগের দিন ২৩/২) (রেনশ ১৫, স্মিথ ২১, মার্শ ৫৩, হ্যান্ডসকম্ব ৭২*, ম্যাক্সওয়েল ২, ওয়েড ৯*; অশ্বিন ১/৭১, জাদেজা ৪/৫১, উমেশ ০/৩৬, ইশান্ত ১/৩০)।
ভারত ১ম ইনিংস: ৬০৩/৯ (ইনিংস ঘোষণা)
ফলাফল: ম্যাচ ড্র
সিরিজ: চার ম্যাচ সিরিজের তিনটি শেষে ১-১
ম্যাচ সেরা: চেতেশ্বর পূজারা