তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে নামলেই বাঙালি কাঁপতে থাকে। সোয়েটার, মাফলার জড়িয়ে জুবুথুবু দশা হয়। সেখানে কি না মাইনাস ১৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়ে থাকা। তাও আবার খালি গায়ে। আর এই অবিশ্বাস্য কাজটাই করে বসেছেন নেইমার।
‘ক্রায়োথেরাপি’ চেম্বারে ঢুকেছিলেন নেইমার। সেই চেম্বারে ঢুকে কী হল, তার ভিডিও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড। প্রায় সাত মিটার লম্বা কন্টেনারের মধ্যে নেইমার ঢুকেছিলেন আদুর গায়ে। ওই কন্টেনার পুরো বরফে ভর্তি। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ১৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে ঢোকার পর প্রথমে যা হওয়ার তাই হয়েছে নেইমারের। ঠান্ডায় ঠকঠক করে কাঁপতে থাকেন। চিৎকারও করে ওঠেন।
তবে নেইমার যখন ওই বরফের কন্টেনারে প্রথম ঢোকেন, তখন তাপমাত্রা কিছুটা কমিয়ে ১৫১ ডিগ্রি রাখা হয়েছিল। পরে আরও ছয় ডিগ্রি কমানো হয়। ক্রায়োথেরাপি সাধারণত অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। ঠান্ডা পানিতে বা বরফের প্যাক দিয়ে যে চিকিৎসা করা হয়, ক্রায়োথেরাপি হল তারই একটি ভিন্ন রূপ। এই থেরাপি নেওয়ার পর একজন প্লেয়ারের পারফরমেন্সের মান এবং ক্ষিপ্রতাও বাড়ে। এছাড়া একজন ফুটবলারের শরীরকে তরতাজা করতেও এই থেরাপি সাহায্য করে।
চোট–আঘাত লাগলে দ্রুত সেরে ওঠাও সম্ভব হয়। ঘুমের সমস্যা থাকলে তাও কেটে যায়। সব মিলিয়ে এই থেরাপির গুণ অনেক। তাই পিএসজিতে ক্রায়োথেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে ফুটবলারদের জন্য। নেইমার সেই থেরাপিই নিয়েছেন। নিজের পারফরমেন্সের উন্নতির জন্য নেইমার এই সাহসটা দেখিয়েছেন। তিনি যে কতটা মরিয়া নিজেকে ছাপিয়ে যেতে, এই ঘটনা যেন নতুন করে তার প্রমাণ দিল।
বিডি প্রতিদিন / ১৭ আগস্ট, ২০১৭ / তাফসীর