পচেফস্ট্রুম টেস্টে যে পেস বোলিং নিয়ে এতো আলোচনা-গবেষণা, সেই পেস বোলিং দিয়েই অবশেষে দুটি ব্রেক-থ্রু পেল বাংলাদেশ। অবশ্য ম্যাচের গাম্ভীর্য এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিচারে ব্র্যাক-থ্রু দুটিকে একটু সম্মান দিয়ে 'দু-দুটি' বলাও চলে!
ম্যাচে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে থাকলেও আপাতত বাংলাদেশের স্বস্তি দুই সেঞ্চুরিয়ানকেও সাজঘরে ফেরাতে পারা। গতকাল পুরো দিনে উইকেটের পতন ঘটেছিল একটি, দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় সেশনে পতন ঘটল দুটি উইকেটের। সেই হিসেবে এখন পর্যন্ত ম্যাচে সবচেয়ে ভালো সেশন বাংলাদেশের জন্য। তবে এই 'ভালো'র পেছনে জড়িয়ে আছে অনেক হিসেব-নিকেশ, শঙ্কা আর দুশ্চিন্তা।
প্রথম ইনিংসে চালকের আসনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা চলার রাস্তাটা আরও প্রশস্ত করলেও এগোয়নি আর, নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ৩ উইকেটে ৪৯৬ রান করেই। এতো ভালো একটি দলীয় ইনিংসের পরও অবশ্য প্রোটিয়াদের কিছুটা পোড়াচ্ছে একটি সেঞ্চুরি ও একটি ডাবল সেঞ্চুরির আক্ষেপ।
প্রথম দিন ৯৭ রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন অভিষিক্ত অ্যাইডেন মারক্রাম, তাতে কেঁদেছিলেন মারক্রামের প্রেমিকা। দ্বিতীয় দিন আরেক ওপেনার ডিন এলগার মুস্তাফিজের বলে ফিরলেন ১৯৯ রান করে, ডাবল সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেকে। ১৩৭ রানে আউট হওয়ার আমলার দেড়শ-র মাইলফলক না ছোঁয়ার আক্ষেপেও চাইলে পুড়তে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা, যে সুযোগ এনে দিয়েছিলেন শফিউল।
বাংলাদেশের সামনে এখন পাহাড়সম চাপ। সেই চাপ জয় করতে খেলতে হবে বোঝেশোনে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের সাবলীল ব্যাটিং আশা জাগাচ্ছে বাংলাদেশের সমর্থকদের।
পচেফস্ট্রুম টেস্টের পিচ বলছে, এখানে চাইলে খেলা যাবে স্ট্রোক, আরও সহজে খেলা যাবে মাটি কামড়ে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা 'স্বভাববিরুদ্ধ' রূপে আবির্ভূত না হলে স্ট্রোকের প্রদর্শনী আয়োজন করতে পারবেন সহজেই। ক্রিকেট সমর্থকদের প্রত্যাশা এখন একটাই- সেই প্রদর্শনীও যেন দীর্ঘায়িত হয়, দীর্ঘায়িত হয় বাংলাদেশের ইনিংসও।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
টস- বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস- ৪৯৬/৩ (ডি.), এলগার ১৯৯, আমলা ১৩৭, মারক্রাম ৯৭
শফিউল ৭৪/১, মুস্তাফিজ ৯৮/১
বিডি প্রতিদিন/২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭/আরাফাত