সারা বুশ্ব অবগত উত্তর কোরিয়ার সর্বময় শাসক কিম জং উনের রাগ সম্পর্কে। রেগে গেলে তিনি একরাশ হিংস্র কুকুরের মাঝে দোষীকে ছেড়ে দেন। তারপর সেই ব্যক্তিকে খুবলে খুবলে খায় সেই কুকুরের দল। তাই দেখে হাততালি দেন কিম। এছাড়া হাজারো যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি পদ্ধতি জানা রয়েছে কিমের মস্তিষ্কে।
সেই রকম কিছু একটা শাস্তির ভয়ে কাঁপছে উত্তর কোরিয়ার ফুটবলাররা। চলতি যুব বিশ্বকাপে একটাও ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। মঙ্গলবারের ম্যাচেও হারের ধারা বজায় রইল৷ কোচিতে ব্রাজিলের কাছে ০-২ গোলে পরাজয় হয়েছে উত্তর কোরিয়ার। বাকি আছে লিগের শেষ একটি ম্যাচ।
পিয়ংইয়ং ফেরার বিমান টিকিট ইতিমধ্যেই বুকিং হয়ে গেছে উত্তর কোরিয়ার ফুটবলাররদের। দেশে ফিরলে কী হবে, সেই আতঙ্ক তাদের তাড়া করছে। কঠিন শাস্তি যে হবেই তা বুঝেই গিয়েছেন কোরীয়ার ফুটবলাররা।
ঠিক যেমনটা ঘটেছিল ২০১০ সালের বিশ্বকাপে। গ্রুপ লিগ থেকে ছিটকে গিয়ে দেশে ফিরেছিলেন উত্তর কোরিয়ার ফুটবলাররা। এরপরেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছিল, উত্তর কোরিয়ার জাতীয় দল ও কোচকে নাকি পরাজয়ের শাস্তি হিসেবে ইট বইতে হয়েছে।
এবার কি সেইরকম শাস্তি নাকি গর্দান যাবে ফিফা অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কাছে পরাজয়ের উত্তর কোরিয়ার ফুটবলারদের ঘিরে জন্ম নিচ্ছে এই প্রশ্ন।
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর