সকল সমীকরণকে পিছু ফেলে অবশেষে সরাসরি রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিক, আর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের টিকিট! সব মিলিয়ে আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে ভাসছে পুরো ফুটবল বিশ্ব। তবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ভাগ্য নির্ধারণী এ ম্যাচের আগে শিষ্যদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন আর্জেন্টিনা কোচ সাম্পাউলি। আর সেই বিশ্বাসকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন ফুটবলের 'জাদুকর' মেসি।
কোটি হৃদয়ের প্রার্থনা নিয়ে ইকুয়েডরের মাঠে নামে শুরুতেই হোঁচট খায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচ শুরুর ৪০ সেকেন্ডের মধ্যেই পিছিয়ে যায় সাম্পাউলির শিষ্যরা। ইকুয়েডরের মিডফিল্ডার রোমারিও ইবাররার আর্জেন্টিনার গোলরক্ষককে কোনাকুনি শটে পরাস্ত করে দলকে এগিয়ে দেন। আর তাতেই যেন জ্বলে ওঠেন মেসি। মেসির দুর্দান্ত নৈপুণ্যে সমতা ফেরাতে দেরি হয়নি আর্জেন্টিনার। বাঁয়ে আনহেল দি মারিয়ার বল বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। বল ফেরত পেয়ে প্রথম ছোঁয়াতেই বাঁ পায়ের টোকায় জালে পাঠান তিনি।
সমতায় ফেরানোর পর দলকে আবার এগিয়ে নেন জাদুকর মেসি। ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে যান তিনি। বল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডি-বক্সে ঢুকে উপরের বাঁ-কোন দিয়ে কোনাকুনি শটে জালে পাঠান পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণাত্বক খেলতে থাকে ইকুয়েডর। কিন্তু বাঁচা-মরার ম্যাচে ছাড় দিতে নারাজ টিম আর্জেন্টিনা। তাইতো ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে মাপা লবে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে আবারও বল জালে জড়ালেন মেসি, করে ফেললেন হ্যাট্রিক। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করেন আর্জেন্টিনার রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকেট।
উল্লেখ্য, রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরু থেকেই কঠিন সময় পার করছে আর্জেন্টিনা। একের পর এক ম্যাচে ড্র করে রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট অনিশ্চিত করে ফেলেছিল সাম্পাউলির শিষ্যরা। আর সেই ধারাবাহিকতায় বাছাইপর্বে গত সপ্তাহের শেষ ম্যাচে পেরুর সঙ্গে ড্র করে শঙ্কাটা আরও বেড়ে যায়। তবে অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে জানে ১৯৭৮ ও ১৯৮৬'র বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আর সেকথাই আরেকবার প্রমাণ করলেন লিওনেল মেসি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১১ অক্টোবর, ২০১৭/ ওয়াসিফ