শুরুতে পুরোনো বলে জশ হেইজেলউডের ছোবল, পরে নতুন বলে মিচেল স্টার্কের। শেষ দিনে প্রথম সেশনেই শেষ ইংল্যান্ড। অ্যাডিলেড টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১২০ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৫ ম্যাচ সিরিজের দুটি শেষে এগিয়ে গেছে ২-০তে।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেয়া ৩৫৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। স্টার্ক ৮৮ রানে ৫ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে অনবদ্য ১২৬ রান করায় ম্যাচ সেরা অসিদের বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান শন মার্শ।
অ্যাশেজের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট জয়ের জন্য ম্যাচের পঞ্চম ও শেষদিন সফরকারী ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিলো ১৭৮ রান। ৩৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছিলো ইংল্যান্ড। আর স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিলো ৬ উইকেট।
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট ৬৭ ও ক্রিস ওকস ৫ রান দিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরু করেন। কোনো রান যোগ না করে ওই স্কোরেই বিদায় নেন তারা। রুট ও ওকস দু’জনই ডান-হাতি পেসার জশ হ্যাজেলউডের শিকারে পরিণত হন। এরপর মঈন আলীর উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পথ মসৃন করে ফেলেন অফ-স্পিনার নাথান লিঁও। মাত্র ২ রান করে ফিরেন মঈন।
দলীয় ১৮৮ রানে সপ্তম উইকেট হারানোর পর এক প্রান্ত আগলে লড়াই করার চেষ্টা করেন উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টো। এর মাঝে ইংল্যান্ডের টেল-এন্ডারের দুই ব্যাটসম্যান অভিষিক্ত ক্রেইগ ওভারটন ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দেন স্টার্ক। সেই স্টার্কই শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের স্বাদ দেন। প্রতিপক্ষের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে দিয়ে ইনিংসের সমাপ্তি টানেন তিনি। ফলে ২৩৩ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। বেয়ারস্টো ৩৬ রান করেন। স্টার্কের ৫ উইকেট ছাড়াও হ্যাজেলউড ও লিঁও ২টি করে উইকেট নেন।
পার্থে আগামী ১৪ ডিসেম্বর শুরু হবে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্ট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া : ৪৪২/৮ডি ও ১৩৮, ৫৮ ওভার (খাজা ২০, স্টার্ক ২০, এন্ডারসন ৫/৪৩)।
ইংল্যান্ড : ২২৭ ও ২৩৩, ৮৪.২ ওভার (রুট ৬৭, বেয়ারস্টো ৩৬, স্টার্ক ৫/৮৮)।
ফল : অস্ট্রেলিয়া ১২০ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : শন মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)।
সিরিজ : পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
বিডি প্রতিদিন/০৬ ডিসেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম