বৃষ্টিবিঘ্নিত চতুর্থ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩ রানে হারিয়ে পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হয়েছে শ্রীলঙ্কা। জয়ের জন্য শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ৮ রান। উইকেট ছিল দুটি। ডেভিড মিলার ক্রিজে থাকায় একটু এগিয়ে ছিল অতিথিরাই। তবে দুর্দান্ত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে নাটকীয় জয় এনে দিয়েছেন সুরঙ্গা লাকমল। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা ১১ ম্যাচ হারার পর জিতল দলটি।
ক্যান্ডিতে বারবার বৃষ্টির হানা দেয়া ম্যাচে ৩৯ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে শ্রীলঙ্কা। এরপর ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার টার্গেট দাঁড়ায় ৩০৮ রানের। ২ ওভারে ২১ রান তোলার পর আবারও বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১ ওভারে ১৯১ রান।
শেষ পর্যন্ত ২১ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৭ রানে থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। এ জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে এখনো ৩-১ এ পিছিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা।
চোটের জন্য সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়া ফাফ দু প্লেসির জায়গায় নেতৃত্ব পাওয়া কুইন্টন ডি ককের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিপার ব্যাটসম্যান ফিরেন ১৩ বলে ২৩ রান করে। সফরকারীদের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস হাশিম আমলার। ২৩ বলে ৬ চারে ৪০ রান করেন তিনি। জেপি ডুমিনি ২৩ বলে দুটি ছয় ও তিনটি চারের সাহায্যে করেন ৩৮ রান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা শুরুতে খোলসবন্দি থাকলেও পরে ব্যাট হাতে তাণ্ডব দেখায়। ব্যাটসম্যানদের সবাই প্রায় রান পেয়েছেন। দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ৩৬ আর নিরোশান ডিকভেলা করেন ৩৪ রান। ৩২ বলে ৫১ রান করেন কুশল পেরেরা। থিসারা পেরেরা করেন ৪৫ বলে হার না মানা ৫১। বাদ যাননি লোয়ার অর্ডারে দাসুন শানাকাও। তিনিই সবচেয়ে বিধ্বংসী ইনিংসটা খেলেছেন। আট নম্বরে নেমে ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬৫ রান করেন শানাকা। বিধ্বংসী এই ইনিংস তাকে এনে দেয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম