অ্যান্ডারসনের বিসাক্ত সুইংয়ের সামনে মাথা নোয়াল ভারত। কোহলি অ্যান্ড কোংয়ের ব্যাটিং জারিজুরি শেষ মাত্র ৩৫.২ ওভারে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৭ রানে অল আউট হয়ে প্যাভিলিয়েন ফিরল টেস্টের এক নম্বর দল। জিমি পেলেন পাঁচ উইকেট। বৃষ্টি ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে উইকেটে বল নড়তেই বেড়িয়ে পড়ল ভারতের কঙ্কালসার ব্যাটিং চিত্র।
লর্ডস টেস্টে প্রথম দিনটা বৃষ্টি ধুয়ে দিয়েছিল। দ্বিতীয় দিন কোহলিদের ব্যাটিং ধুয়ে মুছে সাফ করে দিলেন অ্যান্ডরসন। দিনের শেষে ৩৬ বয়সী জিমির ঝুলিতে বিজয়, রাহুল, রাহানে সহ আরও দুই উইকেট।
ইংল্যান্ডের হয়ে বাকি কাজটা করে দেন পেসার ক্রিস ওকস। এজবাস্টনে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মুখ রক্ষা করেছিলেন কোহলি-হার্দিক। এদিন সেই দুই মহামূল্যবান উইকেট তুলে দিয়ে ভারতকে আইসিইউতে পাঠিয়ে দেন ওকস। বাকি তিনটি উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ব্রড-কারন।
ওপেনিংয়ে ধাওয়ানের পরিবর্তে রাহুল এলেও ভারতীয় ব্যাটিংয়ের আকাশে জমা হওয়া কালো মেঘ এদিন সরল না। কর্ণাটকি ওপেনার ফিরলেন মাত্র ৮ রানে। অপর ওপেনারের বিজয়ের ইনিংস টিকল মাত্র পাঁচ বল। নামের পাশে শূন্য। মিডল অর্ডারে কোহলির প্রতি অতিনির্ভরতা কোনও স্তরে গিয়ে দাঁড়িয়েছে রাহানদের স্কোরকার্ড দেখলেই বোঝা যায়।
অধিনায়কের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির খেসারত দিয়ে রান আউট হয়ে ফিরলেন পূজারা। সংগ্রহ মাত্র ১রান। রাহানে ফিরলেন ১৮ রানে। হার্দিক ১১ আর কার্তিক ১। শেষ বেলায় অশ্বিন ২৯ রান না জুড়লে আরও বেশি লজ্জার মুখে পড়তে হতে পারত।
ব্রডের এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে না ফিরলে ভারতের ঝুলিতে আরও বেশি রান জুড়ত। দক্ষিণী অলরাউন্ডারের ক্যামিও ইনিংস ভারতের মান বাঁচাল বলা চলে। এরপরও যদিও ১০৭ রানে শেষ টেস্টের নম্বর ওয়ান দল।
অন্যদিকে ইংল্যান্ড সফরে তিন ইনিংস মিলিয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ দীনেশ কার্তিক। কিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমানের অভাবটা ভালই বুঝতে পারছেন বিরাট। তৃতীয় দিন শামি-ইশান্তরা দারুণ কিছু করে দেখাতে না পারলে লর্ডসে আরও সমস্যায় পড়তে হতে পারে ভারতকে।
এজবাস্টন টেস্ট হারের পর লর্ডসের দ্বিতীয় দিনের ব্যাটিং ধসের দুঃস্বপ্ন ভুলে কামব্যাক করাই এখন কোহলিদের কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ।
বিডি প্রতিদিন/১১ আগস্ট ২০১৮/আরাফাত