ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে প্রোটিয়া অলরাউন্ডার আন্দিলে ফেহলুকায়োকে ‘কালো’ বলেছিলেন সরফরাজ। যা ধরা পড়েছিল স্টাম্প মাইক্রোফোনে। সেই ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চান সরফরাজ। ফেহলুকায়োর সঙ্গে দেখা করেও ক্ষমা চান। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য চার ম্যাচ নির্বাসিত করে তাঁকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তাই সরফরাজকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে।
তবে ৩১ বছর বয়সী কিন্তু ভুলতে পারছেন না ‘রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস’ শোয়েব আখতারের মন্তব্য। চার ম্যাচের নির্বাসনের সিদ্ধান্তে সরফরাজ সহজে ছাড় পেয়ে গেলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, পাকিস্তানে এমন বর্ণবৈষম্য মূলক মন্তব্য একেবারেই গ্রহণীয় নয়। শোয়েব এক টুইটার ভিডিওতে বলেছিলেন, “একজন পাকিস্তানি হিসেবে এটা কোন মতেই মানতে পারছি না। আমার মনে হয় মুহূর্তের উত্তেজনায় ও এটা বলে বসেছে। এর জন্য ওর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
জিও টিভিতে শোয়েবের এই মন্তব্য নিয়ে সরফরাজ বলেছেন, “আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে। সমালোচনা করা হয়নি। আমি তো নিজের ভুল মেনে নিয়েছি। শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছি। এই ব্যাপারটা সামলানোর জন্য পিসিবিকে ধন্যবাদও দিতে চাইছি। আমি নিজেকে শুধরে নিয়ে ভবিষ্যতে পারফরম্যান্সে উন্নতির চেষ্টা করব। যারা এই কঠিন সময়ে আমার পাশে ছিলেন, তাদেরকে ধন্যবাদ।” দেশে ফিরে আসা সরফরাজ এখন বিশ্রাম নেবেন। তারপর পাকিস্তান সুপার লিগে খেলবেন।
দেশে ফেরার পর সমালোচকদের উদ্দেশে একটা ভিডিও পোস্ট করেছেন সরফরাজ। যাতে দেখা গেছে, একটা বাচ্চা ছেলে কঠিন সময়ে কী করা উচিত, তা নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। যার কথাগুলো হল, “নিজের মধ্যে থাকা ইতিবাচক দিকগুলো খোঁজো, কারণ নেতিবাচক দিক সম্পর্কে বলার জন্য লোক তো রয়েছে। পা রাখার জায়গা খুঁজলে সামনে ফেলো, কারণ পিছনে টানার জন্য লোক তো রয়েছে। দেখলে বড় স্বপ্ন দেখো, কারণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ফেলার লোকও রয়েছে। নিজের মধ্যে থাকা আগুনকে জ্বালাও। ঈর্ষায় জ্বলে ওঠার জন্য লোক রয়েছে। স্মৃতি তৈরি করো, গুজব ছড়ানোর জন্য লোক রয়েইছে। নিজেকে ভালবাসো, শত্রু হিসেবে দেখার জন্য প্রচুর লোক রয়েইছে।”
সরফরাজ এই ভিডিও শিরোনাম করেছেন, “এটাই বাস্তব, এটাই সত্যি, এটাই দুনিয়া।” বোঝাই যাচ্ছে, গত কয়েকদিনের ঘটনায় কতটা ব্যথিত তিনি।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ