ক্রিকেট দুনিয়ায় ত্রাস সৃষ্টিকারী ভারতীয় দীপক আগারওয়াল। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগ এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিংয়ের চেষ্টার কারণে তাকে কালো তালিকাভুক্ত করে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। জুয়াড়ি হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বে বেশ পরিচিত তিনি। কৌশলী এ জুয়াড়ির ফাঁদে পড়ে হুমকির মুখে অনেক ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে এরই মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে এ জুয়াড়ির আদ্যোপান্ত। বলা হচ্ছে, শুধু বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানই নন, শ্রীলঙ্কার সনাৎ জয়সুরিয়াকেও ফাঁদে ফেলেন দীপক। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে অমর একটি নাম সনাথ জয়াসুরিয়া। তিনি জিতেছেন বিশ্বকাপ, আলো ছড়িয়েছেন বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাটে-বলে। কিন্তু জয়াসুরিয়ার বিপক্ষেও উঠেছে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ। আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ জয়াসুরিয়ার বিপক্ষে অভিযোগ তোলে।
বলা হচ্ছে, এর পেছনেও দীপক আগারওয়ালের হাত রয়েছে। জানা গেছে, শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে নেমে জয়াসুরিয়ার সাহায্য চেয়েছিল আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ। কিন্তু সংস্থাটিকে ম্যাচ পাতানো নিয়ে কোনো তথ্য দিয়ে সহায়তা করেননি জয়াসুরিয়া। তাঁর কাছে কোনো প্রস্তাব এসেছিল কি না, সে বিষয়েও কিছু জানাননি। তদন্তে বাধা সৃষ্টির অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিপক্ষে। এতে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন জয়াসুরিয়া।
ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে দীপকের বেশ কিছু অজানা তথ্য। বাড়ি ভারতের হরিয়ানায় হলেও তিনি থাকেন দুবাইয়ে। ভারতের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওনে ক্রিকেট একাডেমিও আছে তার। ম্যাচ পাতানোর খুব বড় কোনো সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত নন তিনি। তার প্রধান কাজ খেলোয়াড়দের অনুসরণ করে তাদের কাছাকাছি যাওয়া এবং দলের ভেতরের বিভিন্ন খবর সংগ্রহ করা। এরপর খেলোয়াড়দের আস্থা অর্জন করতে পারলেই ম্যাচ পাতানোর ফন্দি আটেন এ জুয়াড়ি। সর্ব প্রথম আবুধাবিতে একটি ম্যাচ পাতানোর সন্দেহে আইসিসির নজরে আসেন তিনি। সূত্র : সেভেন নিউজ
বিডি-প্রতিদিন/শফিক