দিল্লির দম বন্ধ করা বায়ুদূষণকে জয় করেছিলেন টাইগাররা। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ভারতের মামুলি ১৪৮ রান টপকে গিয়েছিল মাহমুদুল্লাহ বাহিনী ৭ উইকেট হাতে রেখে।
দিল্লির মতো রাজকোটের ম্যাচটি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল। ঘূর্ণিঝড় ‘মাহা’ আক্রমণে ভেসে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে গুজরাট উপকূল পার হলে ম্যাচ শুরু হতে কোনো সমস্যা হয়নি। সন্দেহের দোলাচালে দুলতে থাকা ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী প্রথমে ব্যাট করে টস হেরে।
দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাইম শেখ ৭.২ ওভারে ৬০ রানের ভিত দেন। লিটন ২১ বলে ২৯ রান করলেও জীবন পান দুবার। এর মধ্যে একবার পরিষ্কার স্টাম্পিং হয়েও বেঁচে যান ভারতীয় উইকেটরক্ষক ঋশাভ পান্থের উইকেট পার হওয়ার আগে বল ধরে ফেলায়। দ্বিতীয়বার জীবন পান রোহিতের ক্যাচ মিসে। নাইম ৩১ বলে ৫ চারে করেন ৩৬ রান। ওয়ান ডাউনে সৌম্য সরকার ৩০ রান করেন ২০ বলে এবং শেষ দিকে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ৩০ রান করেন ২১ বলে। ৪টি ব্যক্তিগত স্কোরের পরও বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩।
তবে বাংলাদেশের দেয়া ১৫৪ রানের টার্গেটে সহজেই পৌঁছে যায় ভারত। আর এই জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরে স্বাগতিকরা।
দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতকে কাজে লাগালে স্কোরটা আরও বড় হতো বলে মনে করেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘উইকেট ছিল ব্যাটিংসহায়ক। আমাদের আরও ২৫-৩০ রান বেশি করা উচিত ছিল।’
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ