১৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০৮:২৪

অ্যাশেজ জয়ের সেই ইংলিশ উইকেটরক্ষক এখন দমকলকর্মী!‌

অনলাইন ডেস্ক

অ্যাশেজ জয়ের সেই ইংলিশ উইকেটরক্ষক এখন দমকলকর্মী!‌

ফাইল ছবি

গ্যারেন্ট জোনস। বয়স ৪৩ বছর। মোবাইল বেজে উঠলেই যাকে ছুটতে হবে স্টেশনে। তারপর‌ হেলমেট আর গ্লাভস পরে পৌঁছাতে হবে ঘটনাস্থলে। আর পাঁচজন দমকলকর্মীর মতো আগুনের লেলিহান শিখা থেকে কারও প্রাণ বাঁচাতে বা উদ্ধার কাজে তাকে এভাবেই এখন ছুটতে হবে।

ত্রাতার ভূমিকায় জোনসকে আগেও দেখেছে বিশ্ব। তবে ভূমিকাটা ছিল ভিন্ন। ১৪ বছর আগে অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডকে চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম কারিগর ছিলেন জোনস। ২০০৫ সালের এজবাস্টন টেস্টে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে মাইকেল কাসপ্রাউইচকে আউট করেছিলেন। যা ১৪ বছর আগে ইংল্যান্ডকে দিয়েছিল কাঙ্ক্ষিত জয়। 

শুধু ইংল্যান্ডের হয়ে নয়। পাপুয়া নিউগিনির হয়েও ক্রিকেট খেলেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ২০০৪ থেকে ২০০৬ ইংল্যান্ড এবং ২০১২-২০১৪ পাপুয়া নিউগিনির হয়ে খেলেছেন তিনি। 

পেশাদার ক্রিকেটার থেকে দমকলকর্মী। একদম ভিন্ন পেশা, ভিন্ন আবহ, ভিন্ন চাপ। আগুন থেকে কাউকে উদ্ধার করতে গিয়ে ভয় করবে না?‌ এক সাক্ষাৎকারে জোনস চমৎকার জবাব দিয়েছেন, ‘‌নার্ভাস লাগে। স্টেশনে ছুটে গিয়ে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়ো। ব্যাপারটা প্র‌্যাকটিস করেছি অনেকবার। তবে সত্যি সত্যি যখন পৌঁছাতে হবে ঘটনাস্থলে তখন আসল চাপ বুঝতে পারব।’‌ শুধু দমকলকর্মী হয়ে ওঠার প্রশিক্ষণ নেওয়া নয়, জোনস সেই সঙ্গে বিজনেস স্টাডি পড়ান।

স্কুলে ক্রিকেটে কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। এত কিছু করার ইচ্ছে হয়?‌ জোনসের কথায়, ‘‌সবাই আমাকে একই প্রশ্ন করেন। আসলে দমকলকর্মী হিসেবে কাজ করব এই ইচ্ছেটা অনেকদিনের। যখন ক্রিকেট খেলতাম সেই সময়ও একবার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সব ঠিকঠাক হয়নি। কয়েক মাস আগে ফায়ার স্টেশনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একটা ব্যানার চোখে পড়ে। ওরা লোক নিচ্ছে জানতে পারি। এরপর পুরানো ইচ্ছেটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। গত সপ্তাহেই পার্ট টাইম ফায়ার ফাইটারের ট্রেনিং শেষ করেছি। এবার ফোন আসার অপেক্ষা। তারপর বেরিয়ে পড়ব নতুন দায়িত্ব পালনে।’‌ 

৩৪টি টেস্ট খেলা জোনস আরও যোগ করেন, ‘‌স্কুলে কোচিং করানো আমার প্রথম দায়িত্ব। তবে ফায়ার ফাইটার হিসেবে সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টা কাজ করতে রাজি। স্কুল থেকে ফিরেই আমি ‘‌অন কল’র অপেক্ষায় থাকব। ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ফায়ার স্টেশন থেকে আমাকে ফোন করতে পারবে। স্কুলে ছুটি থাকলে আরও বেশিক্ষণ কাজ করার ইচ্ছে আছে। ট্রেনিং পর্বটা উপভোগ করেছি। জানি, প্রচণ্ড ফিট থাকতে হবে। পাশাপাশি টিম ওয়ার্ক জরুরি। কোথাও আগুন লাগুক বা রাস্তায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটুক আমাদের এক হয়ে লড়তে হবে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। তবে সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ নিতে দু’‌বছর সময় লাগবে।’‌


বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর