আগামী জুন মাসে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে শেষ হচ্ছে তার চুক্তি। অস্ট্রেলিয়ার কোচের পদে কি তিনি থাকছেন? এটাই এখন একমাত্র প্রশ্ন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মহলে। গত বছরের শেষ পর্বে টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া হোক বা সদ্য ইংল্যান্ডেক ৪-০ হারিয়ে অ্যাসেজ জয়। ল্যাঙ্গারের কাজ নিয়ে সমালোচনার সব মুখ বন্ধ। তিনি কি চান?
এমন প্রশ্নের উত্তরে জাস্টিন ল্যাঙ্গার জানিয়েছেন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া দায়িত্ব দিলে তিনি কাজ করতে রাজি। অস্ট্রেলিয়া সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কয়েক দিনের মধ্যেই জেতার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলয়া।
জুনে চুক্তি শেষ হলেও কোচ প্রসঙ্গে খুব বেশি দেরি করতে চায় না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তার কারণ একটাই- বছরের শেষে ঘরের মাঠে টি-২০ বিশ্বকাপের খেতাব ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে অজিরা। কোচের পদে যিনিই থাকুন না কেন, তার হাতে যেন দল গুছিয়ে নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় থাকে। তাই চলতি মাসের মধ্যেই কোচ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে চায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার এক রেডিও চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে অজি কোচ জানিয়েছেন, এরপর যাই হোক না কেন, গত কয়েকটা মাস নিয়ে আমরা গর্বিত হতে পারি। আমাদের সামনে দুইটি লক্ষ্য ছিল। প্রথমত টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া, দ্বিতীয়ত অ্যাসেজের খেতাব ধরে রাখা। অল্প সময়ের মধ্যেই এই দুইটি কাজ সেরে ফেলাটা সহজ ছিল না। কিন্তু দলের সবাই মিলে সেটা করতে পেরেছি। আমরা গর্বিত।
২০১৮ সালে স্যান্ড পেপার গেট কাণ্ডের পর দলের হাল ধরেছিলেন সাবেক অজি ওপেনার জাস্টিন ল্যাঙ্গার। তবে তার অধীনে অস্ট্রেলিয়া যে তার অতীত গৌরব ফিরে পেয়েছে, এমনটা নয়। ইংল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে অ্যাসেজ জেতা, টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া ও সব শেষে ঘরের মাঠে অ্যাসেজ যেমন গর্বিত করতে পারে ল্যাঙ্গারকে, তেমনই আছে ঘরের মাঠে পর পর দুইবার ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হার। একটা সময় অজি ড্রেসিংরুম থেকেও ল্যাঙ্গার সম্পর্কে উঠে এসেছিলে গুঞ্জন। তবে দারুণ ভাবে সবটা সামলেছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ।
ক্রিকেট মহলের একটা অংশ বলছে, অস্ট্রেলিয়া এবার দুই কোচের কৌশল তৈরির পথে হাঁটতে পারে। একদিনের দল ও টি-২০ দলের দায়িত্ব নিতে পারেন একজন কোচ। অন্যদিকে টেস্ট দলের দায়িত্বে দেখা যেতে আর একজন কোচ। ক্রিকেট মহলের ধারণা দুই কোচের ফরম্যুলায় হাঁটলে টেস্ট দলের দায়িত্ব পেতে পারেন ল্য়াঙ্গার।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ