শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। ডেথ ওভারের বোলিংয়ে বাংলাদেশের ব্যর্থতা ফুটে উঠছে বার বার। বোর্ডে ১৮৩ রানের বড় সংগ্রহ নিয়ে দারুণ সুযোগ ছিল শুরুতেই লঙ্কানদের চেপে ধরার। কিন্তু বোলাররা সেই সুযোগ লুফে নিতে পারলেন না।
ইনিংসে বাংলাদেশ করেছে ৪টি নো বল, সঙ্গে ৮টি ওয়াইড। অথচ শ্রীলঙ্কা নো ও ওয়াইড থেকে রানই দেয়নি কোনো। নো ও ওয়াইড থেকে শুধু অতিরিক্ত ১২টি রান দেওয়া নয়, বাংলাদেশকে করতে হয়েছে অতিরিক্ত ২ ওভারও। এমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে সেগুলোও।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলছেন, চাপের মুহূর্তে এখনো কতটা ভেঙে পড়তে পারে বাংলাদেশ দল, সেটিই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি আরেকবার দেখিয়ে দিল। স্কিলের সঙ্গে এদিকেও উন্নতি করতে হবে বলেও ধারণা তার।
শ্রীলঙ্কার শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮ রানের। বল করতে আসেন মেহেদী হাসান। একপর্যায়ে আসিতা ফার্নান্ডো ২ রান নেওয়ার পর স্কোর টাই হওয়ার কথা ছিল, অথচ একটু পর উল্লাসে মাতল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ অফ স্পিনার পপিং ক্রিজের ভেতরে রাখতে পারেননি পা।
শুধু শেষের ওই নো নয়, এর আগে কুশল মেন্ডিস আউট হয়ে ফিরে যেতে নিয়েও যাননি মেহেদী নো বল করাতে। স্পিনার হয়ে এমন নো বল করাকে ‘ক্রাইম’ বলছেন সাকিব। তবে এমন পরিস্থিতিতে চাপের কারণে নো হয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি।
সাকিব বলেন, আসলে বোঝা গেল আমরা চাপে এখনো কতটা ভেঙে পড়তে পারি। এখানে উন্নতি করতে হবে। স্কিলের উন্নতির ব্যাপার আছে অবশ্যই। তবে চাপ এলেই ভেঙে পড়ি, চাপের মুহূর্ত এলেই হেরে যাই আমরা। এমন ৫০ শতাংশ ম্যাচও জিতলেও কিন্তু আমাদের রেকর্ড ভালো থাকত, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে।
১৮তম ওভারে দাসুন শানাকা আউট হয়ে যাওয়ার পর ম্যাচটা ঝুঁকে পড়েছিল বাংলাদেশের দিকে। তবে অভিষিক্ত ইবাদত হোসেন এসে দেন ১৭ রান। প্রথম ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া এ পেসার পরের ২ ওভারে গুনেছেন ৩৮ রান!
অভিজ্ঞতার অভাবেই এমন হয়েছে বলে মনে করেন সাকিব। তিনি বলেন, এমন চাপের ম্যাচ এর আগে খেলেনি। এর আগে টেস্ট খেলেছে, ওয়ানডে একটি-দুটির বেশি খেলেনি। কিন্তু এমন চাপের পরিস্থিতিতে পড়েছে আজই প্রথম। অনেক কিছু শেখার আছে ওর। প্রথম ২ ওভারে যেভাবে খেলেছে, আমাদের ম্যাচে রেখেছিল সে। আমরা ভেবেছিলাম সে-ই আমাদের ম্যাচে সেরা বোলার হবে। প্রত্যাশা করাই যায়, ছন্দ ভালো থাকবে, ইতিবাচক থাকবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়নি। তবে আমার ধারণা, এ ম্যাচ দিয়ে অনেক কিছু শিখতে পারবে সে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই