২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হতে চলেছে সৌদি আরব। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও শনিবার ফিফা কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটাই ওঠে আসে। ২০৩৪ বিশ্বকাপের জন্য একমাত্র বিডার দেশ ছিল সৌদি আরব।
মানবাধিকার ইস্যুতে সৌদি আরব নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকার পরও তাদেরকে ৫ এর মধ্যে ৪.২ দিয়েছে ফিফা যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ফিফা প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপে মানবাধিকারের ঝুঁকি মধ্যম। সংস্কারের জন্য এটি নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে যেসব সংগঠন সৌদি আরবের বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শুরুতে আপত্তি তুলেছিল, তারা ফিফার এমন মূল্যায়নকে তিরস্কার করেছে।
দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজনে এখন অবকাঠামোই প্রধান চ্যালেঞ্জ। বিশ্বকাপে খেলা হবে সর্বমোট ২৩টি স্টেডিয়ামে। এর মধ্যে একটি কিং সালমান স্টেডিয়াম যার দর্শক ধারণক্ষমতা হবে ৯২ হাজার। এই স্টেডিয়ামেই হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ও ফাইনাল ম্যাচ। এই স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০৩২ সালে।
ফিফা আরও জানায়, অবকাঠামোগত কাজ চলমান হলেও সৌদির প্রস্তাবে টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশগত সুরক্ষার বিষয়েও ঝুঁকি অনেক কম। তবে গ্রীষ্মে উচ্চ তাপমাত্রা নিয়ে ঝুঁকির কথা স্বীকার করেছে ফিফা। সে কারণে সম্ভাব্য কোনো সূচি এখনো ঠিক করানি ফিফা। বিশ্বকাপ আবহাওয়ার কারণে শীতের সময়ে হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ৩টি দেশে। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে থাকবে স্পেন, পর্তুগাল ও মরক্কো। তবে শতবর্ষী এই বিশ্বকাপের শুরুর ৩ ম্যাচ হবে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে।
বিডি প্রতিদিন/এমএস