গত মার্চে ১ কোটি ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা) বেশি ঘুষ নেওয়ার অপরাধ স্বীকার করেছিলেন লি টাই। চীনের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই তারকাকে এবার ঘুষ নেওয়ার অপরাধে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।
লি টাই ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে এরপরই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে সামনে উঠে আসে তার নাম। চীনের সাবেক এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার এর আগে ম্যাচ পাতানো, ঘুষ নেওয়া ও কোচিংয়ের চাকরি পেতে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অপরাধ স্বীকার করেছেন।
লি টাইয়ের দুর্নীতির একটি তথ্যচিত্রও বানানো হয়েছে। যা প্রচার করা হয়েছে চীনের সিসিটিভিতে। যেখানে নিজের অপরাধের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন লি টাই। তিনি বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত। আমার উচিত ছিল সতর্ক থাকা এবং সঠিক পথ অনুসরণ করা। কিছু কিছু বিষয় সে সময় ফুটবলে বেশ প্রচলিত ছিল।’
চীনের হয়ে ৯২ ম্যাচ খেলা লি খেলেছেন ২০০২ সালের বিশ্বকাপেও। চীনের ক্লাব লিয়াওনিং থেকে ২০০২ সালের আগস্টে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব এভারটনে যোগ দেন লি। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড পজিশনে ২০০২–০৩ মৌসুমে ২৯ ম্যাচ খেলে এভারটনকে লিগ টেবিলের সাতে তুলে মৌসুম শেষ করেছিলেন লি।
শুধু লি টাই নন, এই সপ্তাহে চীনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (সিএফএ) তিন সদস্যকে ঘুষের অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া এক ডজনের বেশি কোচ ও খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে বলেও জানা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক